খোলা মনের জানালায় মাতি উল্টো ভাবনায়
অরিজিৎ চৌধুরী
কথায় বলে ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’। সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব মানুষ বার বার ধোঁকা খায় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখি, ‘পুওর ইকনমিক্স’এ অভিজিৎ ব্যানার্জি এবং এস্থার ডাফলো লিখছেন, “ভবিষ্যতে সব কিছু ঠিকভাবে করার ব্যাপারে নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে আমরা বাস্তবতাবিবর্জিত অতিবিশ্বাসে ভুগি। বেশির ভাগ সমসাময়িক পান্ডিত্য’ই অতীত অভিজ্ঞতা নির্ভর হওয়ায় পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে পুরনো জ্ঞানের আলো মাঝে মাঝেই অন্ধকারের আরেক নাম হয়ে দাঁড়ায়। রিচার্ড ফাইনম্যান এজন্য-ই বলেন, “বিশেষজ্ঞদের জ্ঞানে বিশ্বাসের অভাব-ই হল বিজ্ঞান”। আর এই লেখকের মতে, ‘আমার ভুল হতে পারে’–এই বিনয়ী অনুভবই উল্টোপাল্টা চিন্তার জনক ও নতুন জ্ঞানের আবাহনী।
বিপরীত বুদ্ধি আর অপ্রত্যাশিত ঘটনার কিছু উদাহরণ খতিয়ে দেখা যাক।
আমেরিকা- দেখি বটে, ঠিক দেখি কি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান গুলির চিহ্ন নিয়ে ফিরে আসা বিমানগুলো মিত্রপক্ষকে চিন্তায় ফেলল। বোঝা যাচ্ছে যে তাদের গায়ে আরও গুলিরোধী পাত লাগালে ভাল। কিন্তু, সর্বত্র লাগালে প্লেন ভারী হয়ে যাবে। উড়তে অসুবিধে, তেলও খাবে বেশী।
গতিবেগ ও উড়ান ক্ষমতার ক্ষতি না করে কতটা ভারী পাত লাগালে প্লেন গুলো শক্তপোক্ত হবে তা বার করার জন্য অঙ্ক কষার দরকারে আমেরিকার বিমানবাহিনীর লোকেরা পৌঁছলেন অঙ্কের তালেবরদের জায়গা স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিসার্চ গ্রুপ-এ। সেখানে দেখা হল যুবা অঙ্কবিদ আব্রাহাম ওয়াল্ডের সাথে। কথাবার্তা হল এই রকম-
সেনাপ্রতিনিধিঃ আপনি দেখুন কতটা ভার বাড়ালে প্লেন-এর উড়তে অসুবিধে হবে না।
ওয়াল্ডঃ বাড়তি পাত কোথায় লাগাতে চান?
সেনাপ্রতিনিধিঃ সে কথা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। যে সব জায়গায় গুলির চিহ্ন বেশী, সেখানে লাগাব। আপনি শুধু ওজনের কথা বলুন।
ওয়াল্ডঃ ওজনের কথা পরে।
সেনাপ্রতিনিধিঃ মানে?
ওয়াল্ডঃ কোন জায়গায় গুলির চিহ্ন সবচেয়ে কম?
সেনাপ্রতিনিধিঃ সবচেয়ে বেশী গুলি লাগে প্লেনের গায়ে, তারপর তেলের ট্যাঙ্কে, ইঞ্জিনে সবচেয়ে কম।
ওয়াল্ডঃ তাহলে তো ইঞ্জিন বাঁচানো-ই সবচেয়ে বেশী জরুরি।
সেনাপ্রতিনিধিঃ তার মানে? সেখানে তো গুলি লাগছেই না।
ওয়াল্ডঃ লাগছে। যে প্লেনগুলোর ইঞ্জিনে গুলি লাগছে তারা আর ফিরতে পারছে না।
ভাগ্যক্রমে, আমেরিকান সেনারা ওয়াল্ডের কথা মেনে নেয়। তাতে নিশ্চিতভাবে তাদের বহু প্লেন আর পাইলট বেঁচে যায়।
সন্ন্যাসী- কুস্তিগীর না বদ্যি
যেমন যুদ্ধের সম্পর্কে কোন হাতেনাতে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও নির্বিকার অঙ্কপ্রেমী ওয়াল্ড যুদ্ধজয়ের উপায় বার করেন, তেমনই চার হাজার থেকে আড়াই হাজার বছরের মধ্যে, নানা জায়গায় সৈন্যদের যুদ্ধবিদ্যা শেখার আড়ম্বরের মধ্যে যুযুৎসু আবিষ্কার করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। পেশাদার লড়িয়েদের কোন অবদান নেই।
ডাক্তার ও চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষকরা শরীরকে সুস্থ রাখায় নিবেদিত প্রাণ। কিন্তু, নীরোগ জীবন আর দীর্ঘ আয়ুলাভের উপায় যোগ আর প্রাণায়াম আবিষ্কার করলেন ঈশ্বরচিন্তায় জীবন উৎসর্গ করা আপাতদুর্বল পেশীবিহীন সাধুবর্গ।
হরিয়ানা আর বাংলাদেশ
ভারতের এই প্রদেশটির খ্যাতি শস্য উৎপাদন, স্ত্রী-ভ্রুণ হত্যা আর কড়া জাতবিচারে। অসবর্ণ বিয়েতে এই প্রদেশ এগিয়ে আসবে, এমন ভবিষ্যৎবাণী পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারতো কিছুদিন আগেই। এরকম প্রদেশের একটা সঙ্কট হল বিয়ে করার জন্য মেয়ের অভাব। প্রথমে ভিন রাজ্য থেকে বধূ আমদানি চলছিল। কিন্তু, তাতে ভাষা আর সংস্কৃতির সমস্যা উপস্থিত হয়। উদাহরণ, মুখ্যতঃ নিরামিষভোজীদের গৃহবধূ মাছের গন্ধে উতলা হয়ে পড়লে সর্বনাশের আর বাকী থাকে কি? অতএব, কাছের স্ব-ভাষিণী কিন্তু ভিন জাতের মেয়েটিকে দেখে মনে হয়, ‘মন্দ কি?’ সর্বনাশের মাথায় বাড়ি মেরে চালু হয় অন্য ধরণের বিয়ে, ভাঙতে শুরু হয় জাতের বেড়া। সমাজের এই প্রগতি কিন্তু ঘটল অতি প্রগতিবিরোধী স্ত্রী-ভ্রুণ হত্যার প্রতিফল হিসেবে।
এভাবেই জীবনের নানা ক্ষেত্রেই সত্যদ্রষ্টা মহাঋষি সুকুমার রায় উবাচ, “পায়রা দেখে মারলাম তীর, কাকটা গেল মরে” ফলে যেতে থাকে।
বাংলাদেশকে এক সময় জনতা বোমা বলা হত। ওখানে জন-নিয়ন্ত্রণের বাধা ছিল ধর্মবিশ্বাস। প্রায় কোন ধর্ম-ই ঈশ্বরদত্ত সন্তান সম্ভাবনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোকে ভাল চোখে দেখে না। তার ওপর বাংলাদেশে কট্টর ইসলামপন্থীদের কখনোই অভাব ছিল না। তবু, পরিবার পরিকল্পনায় বাংলাদেশের সাফল্যের একটি প্রধান কারণ কিন্তু (চমকে যাবেন না) পাক সেনাদের অত্যাচার। ব্যাপারটা খোলসা করে বললে এই রকম- পাক সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যে অসংখ্য বাঙ্গালী মহিলাকে গর্ভবতী করে বিদায় নেয়। আন্দাজ করি, তাঁদের মধ্যে কট্টরবাদীদে’র ঘরের মেয়েরাও সামিল ছিলেন। অশ্রুমতী কন্যা, বধূ বা ভগিনীর সামনে কট্টরপন্থাও নরম হয়ে পড়ে। তাই স্বেচ্ছা-গর্ভপাতের প্রভাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার ৩% (১৯৬৭)-এর ওপর থেকে ১.৫% -এ (১৯৭৩) সালে নেমে আসে, আর তার হাত ধরে পরিবার পরিকল্পনার উপায়গুলি জায়গা করে নেয়।
দ্রুত-সাড়া ইঙ্গিত (কুইক রেসপন্স কোড)
প্রথম যখন বারকোড সেন্সর দিয়ে বিল বানানো শুরু হল, তখন বেশ আশ্চর্য লাগলেও কেউ অবাক হয় নি, কারণ বার কোড বেশ ডিসিপ্লিন মানা ভদ্র ব্যাপার। দেখেই মনে হয় কাজের বস্তু। কিউ আর কোড এল তারও পরে মাতাল বা পাগলের মত তার বিস্রস্ত চেহারা দেখে কে বলবে যে, এর থেকে কোন কাজের খবর পাওয়া সম্ভব। কিন্তু, প্রমাণিত সত্যি এই যে, কিউ আর কোড একই সাইজের বারকোড থেকে দশগুণ তথ্য ধরে রাখতে পারে।
ইংরাজি শিক্ষা
ভারতে ব্রিটিশরা কেরাণী তৈরীর জন্য ইংরাজি শিক্ষা চালু করে। গুরচরণ দাস তার একটি বিপরীত ফল এই ভাবে বর্ণনা করেছেন, “আমার কাকা (যিনি পরে কম্যুনিস্ট হন) মজা করে বলতেন, ভারতীয়দের ইংরাজী শেখানো ব্রিটিশদের কাছে এক বিরাট পরিহাস হয়ে দাঁড়ায়। যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার অধীন দেশগুলিতে সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করতে ব্যস্ত, তখন ইংরাজী ভাষা খুলে দিলো উদারতা আর ফরাসী বিপ্লবের আদর্শের জানলা। যে সময়ে স্কুল কলেজে স্বাধীনতা আর সমান অধিকারের কথা পড়ানো হচ্ছে, তখনই তার বাইরের পরিধিতে, দেশে চালানো হচ্ছে দমননীতি আর অসাম্য। তার ফলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দিতে থাকে। ভারতীয়দের ইংরাজী শিখিয়ে ব্রিটিশরা নিজেদের কবর খুঁড়েছিল”। ভাষা যে যন্ত্রপাতির মত, মোষের মত (যার লাঠি, তার মোষ–হিন্দী প্রবাদ) বা গরুর মত (যে দুধ খায়, গরু তার-কমলাকান্ত) শ্রেণী-নিরপেক্ষ একটি ব্যাপার, সেটি অন্যথায় জনহিতৈষী রাজনীতিবিদদের মাথায় না ঢোকায় গরীবদের জ্ঞান অন্বেষণ ‘বাবু পড়ে বলে দেবেন’ -এর মোড়ে এসে থমকে দাঁড়ায়।
হিতচিন্তক’রা মানুষের উদ্যমকে অগুন্তিবার ঘুম পাড়িয়ে দেন। তাই অহিতচিন্তকদের কথাও শোনা দরকার।
বাতিল ওষুধ আর ভেজাল খাবার কোন কোন ডাক্তার আদ্যিকালের ওষুধ দেন। অনেক বছর আগে কসবা’য় একজন গরীবের ডাক্তারকে এন্টারোকুইনল দিতে দেখে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘কি করে দিচ্ছেন? ওটা তো বিদেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে।‘ উনি বলেন, ‘জানি। অনেক খেলে অসুবিধে হতে পারে। আমার রোগীদের ওপর নজর রেখে দেখেছি, সে সব সমস্যা হচ্ছে না। ইদানীং আমেরিকা ফেরৎ মাইক্রোবায়োলজির গবেষিকার সাথে কথা বলে জানলাম, পুরনো জীবাণুগুলো আধুনিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরী করতে গিয়ে পুরনো গুলোর সাথে লড়বার কায়দা ভুলে যাচ্ছে, তাই অনেক সময় নতুন ওষুধে কাজ না হলেও, পুরনোগুলোতে হচ্ছে।
অজ্ঞানতার অন্ধকারে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে মানুষের যাত্রা। সে এগোচ্ছে, আহরণ করছে নতুন জ্ঞান। কিন্তু, পিছন থেকে তার পেরিয়ে আসা জায়গাটা আবার গ্রাস করছে অন্ধকার। এই ভাবেই আগের চেনা জিনিস আবার অচেনা হয়ে যাচ্ছে। মশারা ডিডিটি-তে মরে যায়, এই জ্ঞান নিয়ে চলতে চলতে দেখছি, তারা হয়তো ডিডিটি চেটে খাওয়া শুরু করেছে। ভেজালের আদিকালে বড়রা বলতেন তোরা ভেজাল খেয়ে খুব তাড়াতাড়ি মরবি। এসব হতে হতে-ই আমাদের গড় আয়ু ১৯৪৭ সালে ৩২ বছর থেকে বেড়ে এখন প্রায় ৭০ বছর।
ধরা যাক, কোন হিতাকাঙ্খী বিজ্ঞ রাষ্ট্রনেতা ঘোষণা করলেন, পুরনো ওষুধ ব্যবহার করলেই ডাক্তারের জেল। আর জনবিরোধী আর এক স্বৈরতন্ত্রী নেতা ভাবলেন, আমার কি? যা ইচ্ছে করো। ফলে, দ্বিতীয়জনের দেশ বাঁচল, প্রথমজনের মরল। এখানে-ই আসে পণ্ডিত ওবামা ও হাস্যাস্পদ ট্রাম্পের কথা।
পৃথিবীর উষ্ণায়ণের ভীতি- ট্রাম্প ও ওবামা
মানুষের জন্য পৃথিবী গরম হয়ে যাচ্ছে। একে আমরা-ই ঠাণ্ডা করতে পারব এই আপাত-বলিষ্ঠ চিন্তায় হাওয়া দেওয়া হচ্ছে বহু দিন। দুঃস্বপ্নে-আতঙ্কে আমরা ভুলে গিয়েছি যে মানুষের আবির্ভাবের বহু আগে থেকেই যে সব কারণগুলি (সূর্য-সমুদ্রস্রোত-অগ্ন্যুতপাৎ ইত্যাদি) বার বার বিশ্বকে উষ্ণতা আর শীতলতার মধ্যে নিয়ে গিয়েছে। ইডেন উদ্যানে আপেল ভক্ষণকারী আদম-ইভ’কে দেখে তারা পালিয়ে যায় নি। তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার চেয়ে অনেক সস্তা ও সহজ হ’ল পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবার চেষ্টা। কিন্তু, বিশ্বের কল্যাণ করার মহদাকাংখা থেকে মুক্ত হওয়া সহজ নয়। ওবামা (বাইডেন-ও) এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য অনেক টাকা খরচ করার কথা ভেবেছিলেন। এ কথাও সত্যি যে আমেরিকা একা বিশ্ব-কল্যাণে ঝাঁপানোর পাত্র নয়। তারা নুন আনতে পান্তা ফুরনো আফ্রো-এশীয় দেশগুলোর খাদ্য-শিক্ষার বাজেট থেকেও টাকা বের করে নেবে ঠিক। এই সময় ট্রাম্প আমেরিকাকে এই প্রচেষ্টা থেকে বার করে নেওয়ায় কিন্তু মানুষের মহা উপকার হয়েছে (আমার ধারণা)।
মাঝে মাঝে ভাবি- পাগল, মাতাল আর দুষ্টুলোকেরা মানবসমাজের খারাপ করতে গিয়ে কি কি ভালো করে বসেছে, তার একটা লিস্ট বানালে হয়।
কম্পিউটার এল, চাকরি গেল কি
এই ভয় দিয়ে শুরু, এখন দেখা যাচ্ছে খাওয়াপরা শুদ্ধ সব কিছুতেই কম্পিউটার। চাকরি খাবার চেয়ে যন্ত্রটি দিয়েছে বেশী। এই সেদিনও এক সেমিনার-এ শুনলাম কৃত্রিম বুদ্ধি আর রোবোটিক্স জমিয়ে বসলেও তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারী করার জন্য বিস্তর লোক লাগবে। কিছু ধরণের কাজ তামাদি হয়ে যাবে, উঠবে নতুন কাজের চাহিদা। এ রকম ভয়ের সাগর মানুষ বহুবার পেরিয়ে এসেছে। মনে করুন, মোটরগাড়ি চালু হবার সময় গরু আর ঘোড়ার গাড়ীর চালকদের অথবা অটোরিকশ’র আদিকালে সাইকেল রিকশ বা হাত-রিকশ চালকদের কথা।
ব্যাপারটা কোথায় দাঁড়ালো
এসব ঘটনা মানুষকে বলে যে, সমাধান কোত্থেকে উঁকি দেবে বলা মুশকিল, তাই নানা মতের মেলায় চলো। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লিনাস পাউলিং বলেছিলেন, ভাল কোন ধারণা পেতে হলে অনেক ধারণার খোঁজ করো। ভবিষ্যতে কি হবে সে ব্যাপারে যারা একদম নিশ্চিত তাঁদের থেকে একটু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ভাল। সাংবাদিক -প্রাবন্ধিক এইচ এল মেনকেন বলেন,“সভ্য মানুষ সর্বদাই অনিশ্চিৎ আর পরমতসহিষ্ণু…। তাদের মন সর্বদা বলতে থাকে, ‘আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই’।”
কেজো লোকেরা বলেন, সব মত নিলে কাজ করব কখন? এই প্রবন্ধের প্রথমে চলে যান। আব্রাহাম ওয়াল্ড কি বলবেন তার জন্য কি আমেরিকানরা যুদ্ধ থামিয়ে বসে ছিল? প্রতি কাজের একটা সময়সীমা থাকে, সেটা মেনে কাজ চালিয়ে যান। শুধু অন্যরকম, এমন কি বিপরীত বুদ্ধির রাস্তা বন্ধ করবেন না। কাজের ফাঁকে তাদের শুনতে থাকুন, সর্বদাই ঈষৎ অনিশ্চয়তায় দুলতে থাকুন আর গ্লোবাল ওয়ারমিং-এর চেঁচামেচির মধ্যে বেয়াড়া শীতে যদি… যদি-ই “হরি হে মাধব, চান করব না গা ধোবো” ধরণের দ্বিধা উপস্থিত হয়, যা মনে হয় তাই করে ফেলে অন্যটা করলেও মন্দ হত কি? চা-সিঙ্গাড়ার সাথে এই চিন্তাও চিবোতে থাকুন।।
তথ্যসূত্রঃ
- পুওর ইকনমিক্সঃ অভিজিৎ ব্যানার্জী ও এস্থার ডাফলো; বিবিএস পাব্লিক অ্যাফেয়ার্স ২০১১
- হাউ নট টু বি রং- দ্য পাওয়ার অফ ম্যাথমেটিক্যাল রিজনিংঃ জর্ডান এলেনবার্গ; পেঙ্গুইন ২০১৪
- ইন্ডিয়া আনবাউন্ডঃ গুরচরণ দাস; পেঙ্গুইন ২০০০
https://data.worldbank.org/indicator/SP.POP.GROW?locations=BD
About Author
Arijit Chaudhuri, located in Navi Mumbai, petroleum geologist by profession. Also interested in issues concerning pollution, climate change and fast depleting groundwater reserves.Traveling, reading, writing articles, composing rhymes and recitation are his hobbies.