রবিগান রহস্য -১
_– সোমনাথ সরকার
“রবীন্দ্রনাথের গানে তত্ত্ব আছে, চিত্র আছে অসংখ্য …………। বিশুদ্ধ আবেগের জগতে আমাদের পৌঁছে দেবার নানা রাস্তাই তিনি আবিষ্কার করেছেন………। প্রতিদিনের জীবনে কতবার যে নতুন ক’রে নানা গানের চরণ মনে পড়ে, নতুন ক’রে তাদের কি অন্ত আছে! আকাশে মেঘ করে,একা চাঁদ আকাশ পাড়ি দেয়, হাওয়ায় গাছের পাতা দোলে, হঠাৎ একটু লাল রোদের ফালি ঘরে এসে পড়ে, সূর্যাস্ত আকাশে সোনা ছড়ায়, আবার শীত সন্ধ্যার শূণ্যতা আকাশকে রিক্ত করে যায় ……, যখন যা কিছু চোখে পড়ে, যা-কিছু মন দিয়ে ছুঁই সে-সমস্তই বয়ে আনে রবীন্দ্রনাথের কত গানের বিক্ষিপ্ত চরণ। তাঁর গান মনে না করে আমরা দেখতে, শুনতে, ভালবাসতে, ব্যাথা পেতে পারি না! আমাদের নিগূঢ় মনের বিরাট মহাদেশের কোথায় কি আছে হয়তো স্পষ্ট জানিনে, তবে এটা জানি যে সে-মহাদেশের মানচিত্র আগাগোড়াই তাঁর গানের রঙে রঙিন।“ -– বলেছিলেন স্বয়ং বুদ্ধদেব বসু। তাঁর এই মুগ্ধ বিশ্লেষনের মধ্যে একটা কথা আমার কাছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের গানে চিত্রকল্প অসংখ্য। আমি এখানেই থামি না, আমি দেখি – একই গানের ছবি পালটে পালটে যাচ্ছে সিনেমার মতো! দেখতে পাই ছন্দ আর সুরের কারিগরিতে, যেন সূক্ষ্ম তুলির টানে ফুটে উঠছে, চলমান সময়ের ছাপ, প্রকৃতির নির্বাক অংশ যারা তারাও চিন্ময় হয়ে উঠছে তো বটেই, আবার চিত্রপটও কখনো দিগন্ত, আকাশ ছড়িয়ে ব্যপ্ত (zoom out to wide), কখনো আবার তা ঘনীভূত হয়ে সূক্ষ্মকোণী (zoomed into narrow) হতে থাকে। চরিত্ররা ও সেই সঙ্গতে ছোট থেকে বড় হয়, বিদায় নেয়, আবার ফিরে ফিরে আসে। আর এখানেই যত সমস্যা!
তিনি বলেন – “সহজ করে লিখতে আমায় ক’হ যে/ সহজ করে যায় না লেখা সহজে। কিন্তু তিনি কি শুধুই অপারগ হ’ন সহজ করে লিখতে, নাকি তিনি ভালোবাসেন রহস্যময় করে লিখতে। আসলে দ্বিতীয়টাই ঠিক। তাঁর লেখার পরতে পরতে থাকে আবরণ, যা খুব সাবধানে- হ্যাঁ খুব সাবধানে, না হলেই তাঁর সুরের মায়ায় ভেসে যাই যে; আবিষ্কার করতে হয় তাঁর আসল চিত্রকল্পকে। আর তাঁকে এত সহজে বুঝে যাব, এত সহজসাধ্য তিনি ন’ন। শিখরছোঁয়া মেধা! যে মেধা সম-আসনে বসে আইনস্টাইনের সঙ্গে দর্শন আলোচনা করেন, প্রিয় বান্ধব জগদীশ্চন্দ্র বসুর মত বিজ্ঞানী, যে মেধা মার্ক্সতত্ত্ব পুরো অনুধাবন করে তাকে ছড়িয়ে দেন “রক্তকরবী”র পাতায় পাতায়, যিনি সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনে দাঁড়িয়ে বলেন –মানবতাই ধর্ম; সেই অসামান্য মেধার ফসল এই সব গান এত সহজে বুঝে যাব সে সাধ্য কোথায়! আর সত্যি বলতে কি বোঝার পথটিও তিনি খুব সুগম্য রাখেন নি। কেননা সুরের আর সুন্দর রূপের কুহেলীর আড়ালে লুকিয়ে থেকে কারা যেন আমাদের কানেকানে কথা বলে, মনের দরজায় ঘা তোলে, স্বপ্ন বোনে চোখে, আমরা হারিয়ে যাই, বোঝার আগেই।
রবি’র এই “লুকিয়ে প্রদীপ জ্বালা”র ধাঁধা হেঁয়ালি তত্ত্ব নিয়ে কেউ আগেও লিখেছেন কি না, জানি না। বুদ্ধদেব বসুকে তো দেখলাম! শঙ্খ ঘোষ তাঁর প্রবন্ধ সংকলন – ‘এ আমি-র আবরণ’-এ ( বইনাম ‘এ আমি-র আবরণ’ রবিকবিরই ‘আরোগ্য’ কবিতা সঙ্কলনের কবিতা – ‘এ আমি-র আবরণ স্খলিত হয়ে যাক…’ থেকে নেওয়া) রবীন্দ্রনাথ তাঁর সত্ত্বাকে কত ভাগে ভেঙে ভেঙে দেখেছেন যাতে এক ‘আমি’র আবরণ সরে যায় সেই বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু তাঁর এই চিত্রকল্পের ধাঁধার মায়ার কথা কেউ লিখেছেন কি না, জানি না। আমি দেখি তাঁর গান বোঝা অনেকটা মার্টিন গার্ডনারের ধাঁধা সমাধান করার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, আর সমাধান করার পরে যে আত্মপ্রসাদ পাওয়া যায় তাও কিছুটি কম নয়। সেই আনন্দ আজ সবার সাথে ভাগ করতে বসেছি।
আজ লিখছি আমাদের অতি পরিচিত একটি গান নিয়ে – ‘যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার মল্লিকাবনে’। যাঁরা রবীন্দ্রগান করেন, শোনেন জানি তাঁরা এর মধ্যেই গুনগুনিয়ে উঠছেন, উঠেছেন, আর যাঁরা গানে অক্ষম তাঁদের মনে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। গীতবিতানে রাগ/তাল দেখছি – কীর্তন/ দাদরা। লিখেছেন যখন, তখন কবির বয়স ৬৯। অবশ্য যদি প্রকাশকাল ১৯৩১ সাল আর লেখার সময় এক ধরা যায়। কবির জীবন তখন কেমন? — বড় নিঃসঙ্গ! প্রিয়জনেরা প্রায় সবাই গত হয়েছেন বা ছেড়ে গেছেন! বিবাহিতা হয়ে সরে গেছেন রানু (যাঁকে কাদম্বরী দেবীর পুণর্জন্ম বলে মানতেন ঠাকুরবাড়ির কেউ কেউ)। তখন লিখছেন এই গান। আর লিখেই পরিচয় লুকিয়েছেন। কি রকম? গীতবিতানে দেখছি গানটির পর্যায় চিহ্নিত করেছেন – প্রকৃত/বসন্ত। আমি এবার দেখাব তিনি কেমন ভোলাবার ব্যবস্থা করেছেন!
এ’ গান যাঁরা রবীন্দ্র অনুরাগী তাঁদের কন্ঠস্থ। তবুও যদি স্মৃতি থেকে তুলে নিয়ে আসি, সেই সুরের আর শব্দের মায়াজালে জড়িয়ে তাঁর এই লুকোচুরি খেলাটা দেখতে পাব না। যাঁর প্রিয় চরিত্র “অদৃশ্য রাজা”, তাঁর এই গানের চরিত্রগুলোও যে আড়ালে লুকিয়ে থাকবে, সেই তো স্বাভাবিক। বিশেষ করে, প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলোতে তিনি যে গাছ পালা, জীব্জন্তুদের মানবিক চরিত্র দিয়েছেন, আর সেই চরিত্রগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে তাঁর পরিচিতদের চেহারা, এ আমার স্থিরবিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এবার গানটার কবিতা অংশ নীচে দিলাম —
“আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি।।
তখনো কুহেলীজালে,
সখা, তরুণী ঊষার ভালে
শিশিরে শিশিরে অরুণমালিকা উঠিতেছে ছলোছলি।।
এখনো বনের গান, বন্ধু, হয় নি তো অবসান –
তবু এখনি যাবে কি চলি।
ও মোর করুণ বল্লিকা,
ও তোর শ্রান্ত মল্লিকা
ঝরো-ঝরো হল, এই বেলা তোর শেষ কথা দিস বলি।।“
প্রথম পঙক্তিটা আবার লক্ষ্য করা যাক। “যখন” কোনো এক সময় বোঝাচ্ছে, “প্রথম” কিছুর আরম্ভ। এত সহজবোধ্য, কিন্তু কিসের শুরুর কথা বলেন কবি – কোন অনুভূতির প্রারম্ভ? হ্যাঁ, অনুভূতি। দেখাব এই গান কোনো মানবিক অনুভূতির কথাই বলে!
আর একটু এগোই। মল্লিকা ফুলের কুঁড়ি ধরেছে গাছে। …… রাতে ফোটে মল্লিকা। বেলী ফুল বলেও একে আমরা জানি, ইংরেজিতে Jasmin. তাই সময় রাত, গভীর রাত। আমি, এর মধ্যে কিন্তু শুধু দিনক্ষণের নয়, যেন কার বয়েস দেখতে পাচ্ছি – মধ্যকৈশোর! কৈশোরকালের হৃদয়ের গাছে প্রথম কলি ধরেছে, প্রেমের মুকুল ফুটব ফুটব করছে! কৈশোরের দ্বিধা কাটিয়ে তারুণ্যে প্রবেশের সময় এসেছে তার। কার এই কৈশোর, সে কি পুরুষ না নারী? রেখে গেলেন প্রথম ধাঁধা, কবি। রবীন্দ্রনাথ কি টুরিং টেস্ট সম্বন্ধে জানতেন? হতেই পারে, অনেকবার গেছেন ইংল্যান্ডে। সোজা বলেন না তিনি। আপাত মোটা দাগের আড়ালে সূক্ষ্ম তুলির টান খুঁজে নিতে হবে। বলার লোভ সামলাতে পারছি না — একটি ইঙ্গিত কিন্তু তিনি নামকরণেই রেখে দিয়েছেন – ‘মল্লিকা’, সংস্কৃত শব্দরূপ মেনে, স্ত্রীলিঙ্গ।
গল্পের সবে শুরু। পরতে পরতে আরও এগোবে কাহিনী/নাটক। দ্বিতীয় চরণে যাওয়া যাক —
“তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি।।“ সিনেমার ভাষায় হয়ে গেল এক মন্তাজ, আইজেনস্টাইনের অনবদ্য ভঙ্গিমায় (Montage – Eisenstein), মল্লিকাবনের থকে লক্ষ্য (focus) সরে এল (zoom in) এক কিশোরীর হাতের অঞ্জলিতে। তারপরই ‘।।‘ বা দীর্ঘ যতি। এই দীর্ঘ বিরতি যেন সিনেমার ভাষায় ‘কাট টু ব্ল্যাঙ্ক’। সময় দেওয়া হচ্ছে দর্শক/শ্রোতা/পাঠক কে বুঝে নিতে কে, কি বলছে, কি ভাবনার দোলাচল চলছে মনে। কোরক ঢাকা থাকে সবুজ সেপাল (Sepal) দিয়ে। ঠিক যেন পেলব করপুটের অঞ্জলি বেঁধে রাখে কোমল পাপড়িদের। অথচ আমি দেখি – কৈশোর-তারুণ্যের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে এক কিশোরী। তার মনের মধ্যে লুকিয়ে বেঁধেছে প্রেমের আবেগের অঞ্জলি। সে অঞ্জলি এখনো দেওয়া হয় নি! আর এই অঞ্জলি যে প্রেমের তাও কি আমরা নিশ্চিত? বন্ধু কি পুরুষ, না নারী? এখনো লুকোচ্ছেন! রহস্য র’য়ে যাচ্ছে পরবর্তী উন্মোচনের অপেক্ষায়।
পরবর্তী স্তবকে দেখি সেই রহস্যের উত্তর — “তখনো কুহেলীজালে, সখা, তরুণী ঊষার ভালে/
শিশিরে, শিশিরে অরুণমালিকা উঠিতেছে ছলছলি।।“ — বলেই ফেলেছেন অবশেষে, সখা, অর্থাৎ পুরুষ বন্ধু। প্রকৃতির মল্লিকার জন্যে বসন্ত ঋতু? মানবো না! কেননা বসন্ত কেন ভোরের বেলায় বিদায় নেবে? বুঝিয়ে বলছি। তার আগে আর একটা কথা লক্ষ্য করা যাক – আগের স্তবক শুরু হয়েছিল “যখন” দিয়ে, আর এই স্তবক “তখনো” দিয়ে। দুই স্তবকের মাঝে আবারও দীর্ঘ যতি। এই যতি ঠিক সিনেমার ভাষায় “কাট আউট টু ব্ল্যাক (Cut out to black)”, আমাদের বুঝিয়ে দেয় কিছুকাল কেটে গেছে। আমি দেখি যেন বয়স বেড়েছে, কিশোরী এসে পৌঁছেছে তারুণ্যের উপকন্ঠে। আর যেই স্তবকের শব্দের মধ্যে ঢুকব, দেখব শুধু সময়ক্ষেপ হলো না, গদার (Jean-Luc Godard)-এর ভঙ্গিমায় ঘটে গেল যা হল সিনেমার ভাষায় “জাম্প কাট (Jump cut)”। সময়ের সাথে সাথে পটভূমি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নিভৃত রাতের অন্ধকার মুছে যাবার সময় হয়েছে। কিশোরীর হৃদয়ের, তার মল্লিকাবনের, সব আর্দ্রতা, যা সারা রাত ধরে বাতাসে উঠে এসেছে, তারা ঘন হয়ে কুয়াশা দিয়ে ঘিরেছে। কেননা কিশোরীর মুগ্ধতা বদলে গেছে লজ্জায়। রুদ্ধ আবেগে গালে নেমেছে অশ্রুবিন্দু। এদিকে আর সময় নেই! আর এক তরুণী, ঊষার আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সে এসে নিয়ে যাবে “সখা”কে। অবসান হবে এই নিবিড় আবেগঘন সময়ের। এই অবসানের ব্যাথার লাল রঙ এই শিশির বিন্দু (নাকি অশ্রুবিন্দু)-মালাকে লাল করে তুলছে। এই দুঃখের আভাস কেন? পরের স্তবকে দেখব। এওকবারে সব কথা বোলে দেবেন সে মানুষ ন’ন রবি।
“এখনো বনের গান, বন্ধু, হয় নি তো অবসান – / তবু এখনি যাবে কি চলি।” আগের লাল রঙ ছিল এই ব্যাথারই চিহ্ন। এখন হৃদয় নিচোড়ি ফুটে ওঠেছে সকরুণ মিনতি! শেষ না হওয়া বিদায়ের ক্ষরণ! আসন্ন সূর্য সব আড়াল, সব নিভৃতি শেষ করে দেবে, সখার যাবার সময় হবে! অঞ্জলিমুক্ত হয় নি মল্লিকার ফুলেরা। অথচ কিশোরীর হৃদয়ের গান, তার আকুল ব্যাকুল ভাবাবেগ, যে এখনো পৌঁছায় নি সমাপ্তির উচ্চারণে। তবে কি হবে?
আমরা পরের স্তবকে যাব। এ যাত্রা দ্রুত। কোনো দীর্ঘ যতি নয়। সময় নেই……… সময় নেই আর। ছবি এবার আরো স্পষ্ট হবে, নাটক আরো জমবে —
“ও মোর করুণ বল্লিকা,/ ও তোর শ্রান্ত মল্লিকা/
ঝরো-ঝরো হ’ল, এই বেলা তোর শেষ কথা দিস বলি।“
প্রথম চরণে আবার জুম ইন (zoom in), কিশোরীর বাহুতে, সেখান থেকে অঞ্জলিতে। এই বল্লিকা কি শুধু গাছের শাখা? নাকি সেই কিশোরী-তরুণীর কোমল বাহু? করুণ রূপ তার। তার আলিঙ্গনে এখ্নো আসে নি সখা। মুঠোবন্দী থাকতে থাকতে তার অঞ্জলির ফুলগুলোও স্বেদাক্ত, যেন ক্লান্ত। অঞ্জলি উৎসর্গ হয় নি এখনো! আর কতক্ষণে তার কুন্ঠা, সংকোচ শেষ হবে? আর থাকতে পারেন না অধীর চিত্রকল্প দর্শক, কবির সাথে গলা মিলিয়ে মিনতি করে বলে ওঠেন সেই কিশোরী-তরুণীর উদ্দেশ্যে – সেই শেষ মহার্ঘ কথাটি, সেই এক শব্দ, যার মূর্ছনা সৃষ্টির শুরু থেকে হৃদয়ে হৃদয়ে অনুরণনতুলে যাচ্ছে, আবহকাল, তা বলার সময় যে পেরিয়ে যায় প্রায়! আর দেরী নয়, নয়!
————-
দেখলেন, দেখলেন কান্ডটা! এই গান নাকি মল্লিকাফুল আর বসন্ত ঋতুর কথা! আমি তো মানব না! অপেক্ষায় আছি — পরলোকে এই জোব্বাধারীর সাথে দ্যাখা করবই, যেখানেই লুকিয়ে থাকুন! “নাই বা ডাক রইব তোমার দ্বারে…”। আর তখনি দাড়ি সমেত বুকে চাপড় মেরে বলব – বুকে হাত রেখে বলুন তো- এটা প্রকৃতির গান! প্রেমের নয়? ঢপ দেবার আর জায়গা পান নি? আর তিনি যখন চোখ নামিয়ে এই ছোট্ট বক্তাটিকে দেখবেন, তখন তাঁকেই তাঁর কথা ফিরিয়ে দেব — “তোমারে পাছে সহজে বুঝি, তাই কি এত লীলার ছল………”।