পর্ব – ২

অ‍্যন্টিকুইটি থেকে মধ‍্য যুগের পথে
(ধান ভানতে শিবের গীত)

আগের পর্বে আমরা আলোচনা হয়েছে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে ইজিপ্টের 2750 BC সময়ের অভিজ্ঞতার কথা (Proto-history)। তারপর 600 BC নাগাদ গ্রীস এ থ‍্যালেস এর পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা। এই প্রায় 2,200 বছরে ইউরোপ ভৃখন্ডে মানূষ, আমাদের জানা মতো, এটূকুই এগোতে পারল যে ম‍্যাগনেটের আকর্ষণ শক্তির বিষয়টা জানল, স্ট‍্যাটিক ইলেকট্রিসিটির আকর্ষণের বিষয়টা জানলো আর দুটোর তফাৎটা ধরতে পারলো, যদিও কারণটা না বুঝে। সেই সময়কার পৃথিবীর বাকি জায়গাগুলোতে যেমন এশিয়া ভূখন্ডের মেসোপটেমিয়ায় (ইরাক) বা হরপ্পা -মহেঞ্জোদারোয় (বৃহত্তর ভারত) বা বৈদিক যূগে (বৃহত্তর ভারত) কি কাজ হলো বিজ্ঞানে সে ইতিহাস কিন্তু অজানা, প্রোটো-হিস্ট্রী বা মীথের অন্তরালে।

এর পরের 2,200 বছরের ইতিহাসও বেশ ধোঁয়াটে। পৃথিবী তখন অ‍্যান্টিকুইটি থেকে মধ‍্যযুগ (Dark Age) পেরোচ্ছে।

অ‍্যান্টিকুইটির সময়কালে, লেখার কাগজ বা প্রিন্টিং প্রেস আসার আগে, লেখার জন‍্য ছিল প‍্যাপিরাস বা পার্চমেন্ট বা কাপড়ের রোল বা তালপাতা গোছের জিনিস। এক এক জায়গায় এক এক জিনিসের চল। এসবের ওপরেই লেখা হতো নতুন খোঁজা জ্ঞান। লেখা হতো হাত দিয়ে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাটা ছিল অনেকটাই জ্ঞানীদের একক প্রচেষ্টা।
তারপর মূল থেকে কপি করাটা হাতে লিখেই করতে হতো। তা শ্রমসাধ‍্য ছিল, ব‍্যয়বহুল ছিলো। একটা হাতে কপি করা বইয়ের দাম একটা বাড়ির দামের সমতুল‍্য ছিলো। তাই আশপাশের লোকের মধ‍্যে সেই আহূত জ্ঞানের বিতরণ খুব কমই হতে পারতো। একজনের খুঁজে বের করা জ্ঞানের সূত্র ধরে অন‍্য কেউ তার পরবর্তী ধাপ খুঁজে বার করলো – এরকম ধারাবাহিকতা হতো না।

Ancient Papyrus Document

 

দ্বিতীয়ত, দূরের জায়গার সাথে যোগাযোগ ব‍্যবস্থা না থাকায় এক ভূখন্ডের নবলব্ধ জ্ঞান অন‍্য ভূখন্ডে পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যেত। এশিয়া বা আরব ভূখন্ডে খুঁজে বের করা জ্ঞান ইউরোপে, যেমন গ্রীসে বা রোমে সহজে পৌঁছতে পারতো না। আবার উল্টোভাবে, ইউরোপের জ্ঞানও এশিয়াতে সহজে পৌঁছত না। ভারতীয় ভূখন্ডের তক্ষশীলা আর গ্রীসের এথেন্সে প্লাটো’র অ‍্যাকাডেমি – দুটোই আলেকজান্ডারের সময়ে বিরাজমান ছিলো, দুটোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। কিন্তু তক্ষশীলার চরক-এর খুঁজে বের করা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান হয়তো গ্রীসের লোকেদের কাছে পৌঁছতে পারে নি। আবার এথেন্সের অ‍্যাকাডেমির লোকেদের (প্লাটো, অ‍্যারিস্টটল) দর্শনের ভাবনা-চিন্তাও বোধহয় ভারতীয় ভূখন্ডে অপরিচিত ছিলো।

 

Ruins of Taxila, now in Pakistan. It was an University. It was there during Alexander’s time. Charak, the father of Ayurved was here.

 

Ruins of Plato’s ‘Academy’, Athens, Greece. It was a Teaching Institution. It was there during Alexander’s time. Plato, Aristotle was here.

 


Ruins of Parthenon : in Athens, Greece. It was also there during Alexander’s time. It was a place of worship.

 

তৃতীয়ত, সাম্রাজ‍্য বিস্তারের আগ্রাসী উন্মাদনার যূগে পরাজিতদের ভাষা অনেক সময়েই হারিয়ে যেত। বিজয়ীরা নিজেদের ভাষা বিজিত রাজ‍্যে চালু করতো, পরাজিতদের ভাষা অপ্রচলনে, অব‍্যবহারে হারিয়ে যেত। পরাজিতদের নিজের ভাষায় লেখা জ্ঞানের বিষয়গুলো বিজয়ীদের নাগালের বাইরেই থেকে যেতো। বিজয়ীরা সেই জ্ঞানের সুবিধেটা নিতে পারতো না।

Stone inscription in Greek

 


Stone inscription in Latin

 

যেমন ধরা যাক যে পিথাগোরাসের তার থিয়োরেম বা প্লাটো তার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নতুন ভাবনা (The Republic) লিখলেন গ্রীসে বসে, গ্রীক ভাষায় 350 BC নাগাদ তা লেখা হলো। গ্রীক ভাষা তখন চালু, এর 300 বছর আগেই মহাকবি হোমার লিখে ফেলেছেন তার দুই কাব‍্যগ্রন্থ – ইলিয়াড ও ওডিসি, গ্রীক ভাষাতে।

কিন্তু ক্রমে গ্রীক যূগের অবসান হলো, রোমান শাসনের জয়ধ্বজা উড়লো। রোমান সাম্রাজ‍্য বিস্তারের সহযোগি হয়ে রোমানদের ল‍্যাটিন ভাষা জায়গা দখল করে নিলো গ্রীকদের গ্রীক ভাষাকে সরিয়ে, সব পদানত গ্রীক অঞ্চলগুলোতে। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দী নাগাদ সারা পশ্চিম ইউরোগে ল‍্যাটিনের আধিপত‍্য। সে অঞ্চল তখন ওয়েষ্টার্ন রোমান সাম্রাজ‍্যের অধীনে যার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো রোম। গ্রীক ভাষার মূল জ্ঞান-ভান্ডার হারিয়ে গেল ব‍্যবহারের অভাবে।

গ্রীক ভাষা চালু থাকে ইষ্টার্ন রোমান এম্পায়ারে ( যার অন‍্য নাম ছিলো বাইজানটাইন এম্পায়ার) যেটা কন্সট‍্যান্টিনোপলকে (ইস্তাম্বুলকে) কেন্দ্র করে ছিলো। তার অধীনে ছিলো ইষ্টার্ন মেডিটেরেনিয়ানের জায়গাগুলো আর তুরস্ক।

এর অনেক পরে, খৃষ্টীয় পনের শতকে, রেনেসাঁর গোড়ার দিকে ল‍্যাটিন বলা পশ্চিম ইউরোপ থেকে আল্পস পেরিয়ে কিছু লোক ছড়িয়ে পড়ে গ্রীক বলা ইউরোপের পূব অঞ্চলে। ইষ্টার্ন রোমান এম্পায়ারের অধীনে থাকা নানা চার্চের মনাস্টারিগুলোর দিকে যাদের কাছে মূল গ্রীক পান্ডুলিপি রাখা ছিল।। সেই সব মনাস্টারি ততদিনে অটোমানদের অধীনে চলে গেছে।

উদ্ধার করা পুরোনো গ্রীক টেক্সট তখন ল‍্যাটিনে অনূবাদ হয় (উল্লেখযোগ‍্য নাম Marsillo Ficino, 1433 – 1499)। ততদিনে প্রিন্টিং প্রেসও এসে গেছে (Guttenberg, 1436)। তাই ক্লাসিকাল গ্রীসের গ্রীক ভাষায় লেখা জ্ঞান ল‍্যাটিনে অনুদিত হয়ে ছাপা বইয়ের আকারে সহজে, কম খরচে বহু মানুষের হাতে পৌঁছে যায়। সেই সময় থেকে এসব প্রাচীন জ্ঞান ধারাবাহিক ভাবে মানুষের আয়ত্বে। আজও আমরা পিথাগোরাসের থিয়োরেম স্কুলে পড়ে থাকি।

 

Pythagorus Theorem, in Greek

 

Pythagorus theorem as explained in a demo model at Kalimpong Science Museum. Entire liquid from the biggest compartment just-fills the 2 smaller compartments on rotation of the disc. The reverse is also valid.

 

Plato’s Republic (Greek)

 


The Republic, today’s book

 

আমাদের ভারতীয় ভূখন্ডেও ইতিহাসের মাঝপথে হারিয়ে যাওয়া এবং পরে তার পূনরূদ্ধারের ভুরি ভুরি নিদর্শণ আছে – তক্ষশীলা, ইলোরা-অজন্তা, হাম্পি ইত‍্যাদি। এখানে আবার সমস‍্যার নতুদ পরত জুড়েছে। 17th সেনচুরি থেকে ইউরোপের কলোনিয়ালিসম শুরু। 1600 AD তে লন্ডনে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থাপনার পর রাজা, সরকার এবং দেশের লোকের স্বীকৃতি নিয়ে। এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় রমরমিয়ে চলেছে সেই উপনিবেশবাদের দৌরাত্ম 250 -300 বছর ধরে। তাতে সে জায়গাগুলো নিজেদের ভাষা, ইতিহাস, সংস্কৃতি হারিয়ে ইউরোপিয়ান প্রভুদের চাপানো ভাষা নিজের ভাষা বলে ভাবতে শিখেছে। এবং যেহেতু এদের নিজেদের সোর্স মেটিরিয়াল অবলম্বনে নিজেদের তৈরী করা পরম্পরাগত ইতিহাসের কোন দলিল ছিল না, তাই ইউরোপিয়ান প্রভুরা নিজেরাই খনন চালিয়ে যা কিছু সোর্স মেটিরিয়াল বের করেছে তার ওপরই ইউরোপিয়ান দৃষ্টিকোণ থেকেই স্থানীয় ইতিহাস লিখেছে। ইউরোপিয়ানরা বহিরাগত, তারা এশিয়া ও আফ্রিকা ভূখণ্ডকে দেখেছে পদানত উপনিবেশ হিসেবে, তারা লিখেছে বিজয়ীর চোখ দিয়ে, ইতিহাস লেখা হয়েছে ঘটনার অনেক পরে, নতুন আবিষ্কৃত তথ‍্যের রিকন্সট্রাকশান হিসেবে। সে ইতিহাসের বুননে ইউরোপিয়ান অহমিকার, আত্মম্ভরিতার, শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারের ছাপ মোটা দাগে থেকে গেছে।

তাই আর্যভট্টের 500 AD নাগাদ করা 0 র মতো এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা আরব দুনিয়ার হাত ঘুরে ইউরোপে পৌঁছেছিলো, যা না থাকলে অঙ্কের জ্ঞান এখোনো মধ‍্যযুগেই আটকে থাকতো, আজ ইতিহাসের এক ফুটনোট মাত্র।

Aryabhatta, the mathematical genius from India. He introduced the concept of Zero and the Decimal System took shape. That happened around 500 AD. He was at Pataliputra (Patna) at the court of Gupta Emperor.

 

তবে এগুলো হচ্ছে ধান ভানতে শীবের গীত। এসব নিয়ে পন্ডিতেরা তত্ত্বকথা লিখুন। আমাদের ইলেকট্রিসিটির গল্প তার আওতাতেই থাকুক। শূধূ সেই সময়কালের একটা চালচিত্র আঁকতে গিয়ে এ সব প্রসঙ্গের অবতারণা।

এইভাবে হয়তো নানা কাজ হতে থাকে নানা সভ‍্যতায়, সারা পৃথিবী জুড়ে – চীনে, ভারতে, আরব দুনিয়ায়। হয়তো অনেক কাজের ইতিহাস হারিয়ে যায়। অনেক কাজের ইতিহাস হয়তো এখনো জানাই যায় নি। এইভাবেই পৃথিবী অ‍্যান্টিকুইটির যুগ থেকে মেডিয়াভাল যুগ পেরিয়ে রেঁনেশা যুগে চলে আসে।

মোটা দাগে, রেঁনেশা যুগের শুরু ইউরোপে, 1453 তে কন্সট‍্যান্টিনোপল (আজকের Istanbul) – এর পতনের পর থেকে। কন্সট‍্যান্টিনোপল ছিলো এক হাজার বছর ধরে চলতে থাকা, নড়বড়ে হয়ে আসা ইষ্টার্ন রোমান সাম্রাজ‍্যের রাজধানী। সে সাম্রাজ‍্যের অন‍্য নাম ছিলো বাইজানটাইন সাম্রাজ‍্য। তারা মানতো গ্রীক ট্র‍্যাডিশন, অর্থোডক্স খৃষ্টান ধর্ম । বিপরীতে পশ্চিম ইউরোপ মানতো রোমান (ল‍্যাটিন) ট্রাডিশন আর রোমান ক‍্যাথলিক ধর্ম। 1453 তে তুর্কী সুলতান মেহমুদ কন্সট‍্যান্টিনোপল জয় করেন। বিগত 1000 বছরের বাইজানটাইন সাম্রাজ‍্যের পতন হয়, অটোমান সাম্রাজ‍্যের সূরু হয় যা আগামী প্রায় 500 বছর ধরে চলবে, 1914 তে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হওয়া পর্যন্ত।

সমসাময়িক ভারতীয় উপমহাদেশে তখন দিল্লীতে শুরু হয়েছে লোদী রাজত্ব (1451) যারা এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে। দক্ষিন ভারতে তখন চলছে বিজয়নগরের রাজত্ব যার রাজধানী তখন বিজয়নগর (এখনকার হাম্পি)। একশ বছর আগে মরোক্কোর বিশ্ব-পর্যটক ইবন বতুতা দিল্লীতে বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন মোহম্মদ বিন তুঘলকের দরবারে।

Fall of Constantinople (Istanbul), 1453 AD

Lodhi Garden, Delhi, carring the memories of Lodhi reign (1451 – 1526). Lodhis were from Afganistan.

 

Ibn Batuta, the world traveller from Morocco. He visited the court of Mohammed Bin Tughlaq at Delhi in around 1340, about 100 years before the fall of Constantinople

 

 

অটোমানরা ছিলেন মুসলিম। তাদের আসাতে বাইজানটাইনের ক্রিষ্টানরা তাদের রাজ‍্য ছেড়ে (এখনকার তুরস্ক বা Turkey) পশ্চিমে ইউরোপের দিকে চলে যায়। মেডিটেরিয়ানের তীরবর্তী জায়গাগুলোতে তারা ছড়িয়ে পড়ে। ইটালিতে, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে হয় তাদের মাইগ্রেশন। সে সব জায়গা তখন ছিল অটোমান (মুসলিম) আওতার বাইরে, ক্রিষ্টান আধিপত‍্যে।

রেঁনেশা যুগ ইউরোপে নিয়ে আসে মধ‍্য যুগ থেকে আধুনিক যুগে উত্তরণের এক নতুন ভাবনা। এতদিন পর্যন্ত ধর্ম এবং ঈশ্বর মানুষের ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এবার মানুষের ব‍্যক্তিগত জীবনকে ধর্ম থেকে, ঈশ্বর থেকে পৃথক আসনে বসানো হয়। মানুষ সহ-মানূষের জন‍্যই ছবি আঁকতে শুরু করে, মানূষকে নিয়েই সাহিত‍্য রচনা শুরু করে। এতদিন অবদি পাওয়া সমস্ত জ্ঞানকে, সমস্ত উপলদ্ধিকে ছাড়িয়ে যাবার এক অদম‍্য ইচ্ছেকে জন্ম দেয় এই যুগ। লোকের চিন্তা জগতে আসে এক অদ্ভুত অস্থিরতা। বিজ্ঞানে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ এবং কারণ অনুসন্ধান (Experiment, Observation and Inducive deduction) মানুষের স্বভাবে গভীর ভাবে গেঁথে বসে। সারা ইউরোপ এই নতুন জানার নেশায় মেতে ওঠে। ক্রমাগত অনুসন্ধানের অবিশ্বম্ভাবি ফল – বিভিন্ন দিকে নতুন নতূন আবিস্কার হয়। সারা ইউরোপ জুড়ে এই নতুন আবিস্কারের বন‍্যা। ইউরোপ অচিরেই তার সূফল ভোগ করতে সুরু করে। নতুন আবিস্কাররা মানুষের কাজে লেগে মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে।

এটার একটা রিপলিং এফেক্ট হয় বাকি পৃথিবীতে ইউরোপিয়ান কলোনিয়ালিজমের বিস্তার (কারো কারো মতে)। নবলব্ধ আবিষ্কারগুলোকে হাতিয়ার করে ইউরোপ এশিয়া, আফ্রিকা আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোকে নিজেদের পদানত করে। অধীনে আনা দেশগুলোর সম্পদ ইউরোপ লুট করে যথেচ্ছ ভাবে। পরাজিত দেশগুলোর ওপর নিজেদের ভাষা সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় লোকেদের স্বাভাবিক স্বতস্ফুর্ত সৃষ্টিশীলতার মননকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ইউরোপে লোকেদের মধ‍্যে রেঁনেশার যে সৃষ্টিসুখের যজ্ঞ চলছিল তাতে যোগদানের সুযোগ থেকে এশিয়া আফ্রিকার লোকেরা দূরেই থেকে যায়। তারা না পারে তাতে যোগ দিতে, না পায় তার সুফলের ভাগ। তারা শুধু ইউরোপের সৃষ্টিযজ্ঞে নিজেদের ধন-সম্পদের আহুতিই জুটিয়ে যায়।

Early Printing Press. Guttenberg in Germany made first printing press in 1440. This has revolutionized the dissemination of knowledge.

 

(পরের সংখ‍্যায়
দুলকি চাল থেকে কদম তালে, রেনেসাঁ -পরবর্তি যুগের অবিশ্বাস‍্য অগ্রগতি )