(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

রেঁনেশা যুগ, 1453 থেকে 1600
(আমাদের দেশে ইব্রাহিম লোদির সময় থেকে লোদি বংশের পতন হয়ে, মোগল শাসন শুরু হয়ে সম্রাট আকবরের সময়কাল পর্যন্ত )

কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল অচেতন
ও তার ঘুম ভাঙ্গাইনু রে
লক্ষ যূগের অন্ধকারে ছিল সঙ্গোপন
তায় জাগাইনু রে

আগের পর্বে আমরা দেখেছি যে মধ‍্য যুগ থেকে রেনেশাঁ আসার আগে অবদি (মোটা দাগে 1453 AD অবদি) বিজ্ঞানের জগতে বিশেষ কিছু অগ্রগতি হয় নি। অবশ‍্য এশিয়া বা আরব দুনিয়ায় যা অগ্রগতি হয়েছে (যেমন ভারতে আর্যভট্টের ‘শূণ‍্য’ আবিষ্কার) তা দুনিয়া জুড়ে বেশী প্রসিদ্ধি পায় নি যদিও তার ফলটা সারা পৃথিবী ভোগ করেছে। ইউরোপে তো সে সময়টাকে ডার্ক এজ নামেই লোকে জানে।

রেনেশাঁ এলে সময়টা যেন ঝাাঁকি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়। একটা দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকার পর হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে চোখ রগড়ে লোকে দেখে – It is a brave New World (Shakespere 1564 – 1616)। নতুন চিন্তা-ভাবনার উদ্ভব প্রথমে হয় সে সময়কার শিল্পীদের কলাসৃষ্টিতে। দা ভিঞ্চি 1452 তে জন্মে রেনেশাঁর সুরুর দিকে তার কর্মশৈলীর তুঙ্গে। তার 23 বছরের ছোট মাইকেলেঞ্জলো বা তার সমসাময়িক রাফায়েল তখন ঝড় তুলছেন। এর চল্লিশ বছর পরে আসবেন টিনটোরেত্তো যাকে সত‍্যজিৎ রায় বিখ‍্যাত করে দিয়েছেন তার ‘টিনটেরেটোর যীশু’ গল্পে। সেই গল্প নিয়ে হিট ছবিতে তোপসে লালমোহন বাবুকে বুঝিয়ে দিচ্ছে আরেক ইটালিয়ান শিল্পী গিয়োত্তোর বিষয়ে যিনি একশো বছর আগেই প্রচলিত বাইজানটাইন স্টাইলের রীতি রেওয়াজ ভেঙ্গে তার ছবিতে ত্রিমাত্রিকতা প্রবর্তন করেছেন।

Vitruvian Man by Da Vinchi (1452 -1519)

 


Pieta by Micheleangelo (Italy, 1475 -1564)

 

শিল্পকলার এইসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও রেনেশাঁর গোড়ার দিকে প্রযূক্তি এগিয়েছে মাইনিং এবং মেটালার্জিতে, ব্লাস্ট ফার্নেস এসেছে, প্রিন্টিং প্রেস এসেছে, আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে, নৌবিদ‍্যার নটিকাল কম্পাস এসেছে, নটিকাল অ‍্যাস্ট্রোলোব এসেছে, টেকনিক্যাল ড্রইং এসেছে। কিন্তু এসবের সাথে ইলেকট্রিসিটির কোন যোগ নেই।

Nautical Astrolobe

 

নতুন কাজ যা পরে গিয়ে ইলেjকট্রিসিটির রহস‍্য উন্মোচনে সাহায‍্য করবে তা বলতে প্রথম নাম আমরা পাচ্ছি উইলিয়াম গিলবার্ট (1544 – 1602)। তিনি ইংল‍্যান্ডের লোক, লন্ডন তার কর্মক্ষেত্র। তিনি পেশায় ছিলেন ডাক্তার। কেমব্রিজ থেকে ডাক্তারি পাস করে পরে FRCP হন। শেষে কুইন এলিজাবেথের ব‍্যক্তিগত চিকিৎসক হয়েছিলেন। পেশাগত ডাক্তারি ছাড়াও তিনি অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয়ে অতি উচ্চমানের গবেষনা করেছেন।

যে বছরে গিলবার্টের জন্ম(1544) প্রায় সেই বছরেই , প্রাশিয়ায় (আজকের পোল‍্যান্ড) কোপারনিকাস নিয়ে এলেন সৌরজগতের আবর্তনের এক সম্পূর্ণ নতুন মতবাদ – হেলিওসেন্ট্রিক থিয়োরি। সে সময়ে প্রচলিত ধারণা ছিল যে পৃথিবী স্থির, সে সব কিছুর কেন্দ্রে, তার চারপাশের আকাশটা ঘুরছে, তাই আকাশে থাকা সূর্য‍্য, তারা, গ্রহরাও ঘুরছে, মানূষের চোখের সামনে সেগুলোই রোজ ঘুরে ঘুরে আসছে, আমরা তাদেরকে দেখতে পাচ্ছি নিয়মিত পর্যায়ক্রমে, রোজ দিন হচ্ছে; রাত আসছে। কোপারনিকাস টেলিস্কোপ ছাড়াই (তখনো টেলিস্কোপ আবিস্কার হয় নি) খালি চোখে আকাশ দেখে দেখে আর আরব স্কলারদের বের করা অনেক তথ‍্য আর মতবাদ পড়ে বললেন যে না, পৃথিবীটা স্থির নয়, এটা ঘুরছে। আর আমরা যে দেখি বা ভাবি আকাশটা ঘুরছে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে, সাথে সূর্য‍্য, গ্রহ তারাদের নিয়ে- সেটাও ঠিক নয়। আসলে কেন্দ্রে আছে সূর্য‍্য, বাকিরা, মায় আমাদের পৃথিবীও তাকে প্রদক্ষিন করছে। মোদ্দা এটাই হলো তার নতুন হেলিওসেন্ট্রিক থিয়োরি। এটা তিনি পঁচিশ বছর আগে বের করলেও ভয়ে ভয়ে প্রকাশ করলেন1543 এ, প্রায় 70 বছর বয়সে এসে, মারা যাবার মাত্র কিছুদিন আগে, চার্চের কোপে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে।

 

Nicolaus Copernicus (Poland, 1473 – 1543)

 


William Gilbert (England, 1542 – 1603)

 

এই মতবাধ সহজভাবে মানুষের বোধগম‍্য হলো না। যে মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি সেটাই ঘুরছে ? কি করে বুঝবো ? তাই নতুন মতবাদ জনগণের কাছে বিশেষ পাত্তা পেল না।

পরের বছরে, 1544 এগিলবার্ট জন্মে এসব পড়লেন ঠিক বয়সে এসে। তারপর নিজেই পরীক্ষা চালালেন পৃথিবীর আবর্তনের ওপর। প্ল‍্যানেটরি মোশানের ব‍্যাপারটা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনিই প্রথম বললেন যে পৃথিবী নিজেই একটি ম‍্যাগনেট যার আকষাণ শক্তি আছে লোডস্টোনের মতো। সেই আকর্ষণয়ালা পৃথিবীর নাম তিনি দিলেন টেরেলিয়া। সেই ম‍্যাগনেটের বিশাল আকর্ষণ শক্তির ওপর ভিত্তি করে তিনি সৌর আবর্তনের কিছু মতবাদ রাখলেন।

পৃথিবী যে নিজেই একটি ম‍্যাগনেট – গিলবার্টের এই হাইপোথিসিস ( যেটা তিনি ভেবেছিলেন পৃথিবীর আবর্তনের কারণ খুঁজতে) সেটা পরে গিয়ে মান‍্যতা পাবে ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কারের পথে। ইলেকট্রিসিটির রহস‍্য পাঠোদ্ধারে এটা একটা মূল সিদ্ধান্ত বলে পরে প্রমাণিত হবে।

এই আকর্ষণ ছাড়াও গিলবার্ট অ‍্যাম্বারকে ঘষলে সেটা যে পলকা জিনিসকে আকর্ষন করে তার ওপরেও অনেক পরীক্ষা চালান। সেই আকর্ষণ শক্তিটার নাম তিনি রাখেন Elektron (গ্রীক শব্দ, অর্থ – like amber in it’s attractive properties)। এই শব্দটা থেকেই 40 বছর পর Electricity শব্দটা প্রথম ব‍্যবহার হয়, পদার্থের ঘর্ষণজনিত আকর্ষণের ধর্ম বোঝাতে। তাই গিলবার্টই Electricity শব্দটার জনক।

তবে সেই Electricity র তখনকার অর্থ আজকের প্রচলিত অর্থের থেকে শত মাইল ব‍্যবধানে ছিল। আজকের জানা Electricity নামের জিনিসটা তখনো ভবিষ‍্যতের আড়ালে। তখন তো তেলের বাতির যুগ। ইলেকট্রিক আলো আসতে আরো 250 বছর বাকি। ইলেকট্রিক কারেন্ট জিনিসটাও অজানা। তখন লোকে আর কি করে ধারণা করবে যে আজকে যে ধর্মটাকে তারা ইলেকট্রিসিটি বলে জানছে সেটা পরে গিয়ে কি বিশাল সর্বব‍্যাপী রূপ নেবে।

গিলবার্ট ভেবেছিলেন যে Elecktron (attractive properties like amber) এবং Magnetism (attractive property of Lodestone) – দূটৌ আলাদা ধর্ম। সে ধারণাটা যে ঠিক নয়, দুটো আকর্ষনের সূত্র যে একই – electromagnetic force – সেটা জানতে আরো 180 বছর লেগে যাবে, জানাবেন ওরস্টেড ও ম‍্যাক্সওয়েল। সে গল্প আসবে পরের পর্বে।

গিলবার্ট ধারণা করেছিলেন যে পদার্থের ভেতর কোন অদৃশ‍্য তরল (fluid) থাকে যেটা পদার্থকে ঘষলে পদার্থের চারধারে একটা effluvium তৈরী করে। আর সেটাই আকর্ষণ ঘটায়।

গিলবার্টের সময়কাল ভারতে কি চলছিলো? আগ্রায় বসে আকবর বাদশার মোগল সাম্রাজ‍্য চালাচ্ছিলেন,
তুলসীদাস হনুমান চালিশা রচনা করছেন, টোভরমল ডারতীঋ ভূখন্ডের জরীপের একটা প্রামান‍্য রূপরেখা তৈরী করছেন রাজস্ব আদায়ের কাজের জন‍্য, চৈতন‍্যদেব তার লীলা সাঙ্গ করে বিগত হয়েছেন কয়েক বছর আগে।

Mughol Emperor Akbar ( 1542 – 1605)

 


Sri Chaitanya – West Bengal ( 1486 – 1514)

 

আর ইউরোপে নতুন আবিষ্কার চলতে থাকা সত্বেও চার্চের প্রভাব জনমানসে বড় তীব্র ছিল। জিওর্দানো ব্রুনো তার বৈজ্ঞানিক মতবাদে অটুট থাকায় (যা ছিল চার্চের বিশ্বাসের বিপরীতে) তাকে ফ্লোরেন্সের প্রকাশ‍্য রাস্তায় জীবন্ত পূড়িয়ে মারা হচ্ছে (Inquest, 1600 AD)। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন, ইটালির বিজ্ঞানী গ‍্যালিলিও তখন মধ‍্যজীবনে, হেলিওসেন্ট্রিক থিয়োরি নিয়ে চার্চের সাথে মতভেদে তার টালমাটাল অবস্থা। এর পরেও তিনি 42 বছর বাঁচবেন, শেষের দিকে গৃহবন্দি হয়ে, তার মতবাদের জন‍্য।

Giorrdano Bruno (1548 – 1600)

 

পরের 150 বছর (1600 – 1757)
(আমাদের দেশে জাহাঙ্গীরের সময় থেকে পলাশীর যুদ্ধ পর্যন্ত )

এই সময়টাতে বিজ্ঞানের উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমাবেশ ইউরোপ জুড়ে। গ‍্যালিলিও তার জীবনের শেষ ভাগ কাটাচ্ছেন। তিনি চলে যাবেন 1642 এ। আরেক জ‍্যোতিষ্ক আইজাক নিউটনের জন্ম হচ্ছে 1643 এ। যাকে পরে আইনস্টাইন পৃথিবীর এক শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা দেবেন। নিউটন পৃথিবীকে দেবেন তার যুগান্তকারী Laws og Gravity আর Laws of Motion.

Galileo (1564 – 1642)

 


Issac Newton (England, 1643 -1727)

 

এই সময়-সীমায় ইলেকট্রিসিটি নিয়ে 1663 সালে জার্মানির অটো ভন গেরিক এক কৌশল তৈরী করেন যাতে একটা সালফার বলকে শ‍্যাফটে ঝুলিয়ে, সেটা একটা হ‍্যান্ভেল দিয়ে ঘুরিয়ে যান্ত্রিক উপায়ে ইলেকট্রিসিটি (static charge) তৈরী করা যায়। আমরা সকলেই তার নামের সাথে পরিচিত, তার ম‍্যাকডিবার্গ ভ‍্যাকুয়াম স্প্ফিয়ারের এক্সপেরিমেন্টের জন‍্য যা আমরা সকলেই স্কুলে পড়েছি।

1700 সাল আসতে আসতে এই ইলেকট্রিসিটি (staic charge) তৈরী করার যন্ত্র ক্রমে Parlour Fun Machine এ ব‍্যবহার হতে থাকলো। কিছু লোক এরকম মেশিন দিয়ে ইলেকট্রিসিটি তৈরী করে (আসলে electric charge বা static charge তৈরী করে), তার আকর্ষণ শক্তি আর শক এফেক্ট দেখিয়ে লোকেদের তাক লাগিয়ে পয়সা রোজগারে নেমে পড়লো। একবার এক চার্চের সামনে 100 সাদা পোযাক পড়া মঙ্কদের লাইন দিয়ে হাত ধরে দাঁড় করিয়ে একজনের শরীরে ইলেকট্রিক চার্জ ছোঁয়াতেই ছুঁয়ে থাকা 100 জনই মাটি ছেড়ে খানিকটা উঁচুতে শূণ্যে উৎক্ষিপ্ত হন। সে এক তাক লাগানো দৃশ‍্য ছিল। এমন ভেল্কী ঘোড়ার পালের সাথেও দেখান হতো।

Otto von Guericke’s Electrostatic Generator devise

 


Parlour Fun Machines ( A couple, standing on insulated floor was charged electrically and then asked to kiss)

 

1729 সালে ইংল‍্যান্ডের স্টীফেন গ্রে দেখান যে ইলেকট্রিসিটি (static charge) উৎপন্ন হয়েই মিলিয়ে যাওয়া pin-prick experience নয়, এই ইলেকট্রিসিটি পরিবাহিতও হতে পারে। কোন প্রদর্শনে তিনি ইলেট্রিসিটিকে এক বিল্ডিং এর দোতালা থেকে 150 ফুট দূরে একতালায় নিয়ে আসেন।

চার্লস ড‍্যু ফে ছিলেন ফ্রেন্চ আর্মির একজন ইঞ্জিনিয়ার। তার পারদর্শীতা ছিলো দুর্গ তৈরীর স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে। সেই কাজের ফাঁকে তিনি ইলেকট্রিসিটি নিয়েও পরীক্ষা করেছেন। তিনি প্রথম 1733 এ বললেন যে প্রচলিত ধারনায় ইলেকট্রিসিটির আকর্ষণের কারণ যে অদৃশ‍্য তরল (fluid – গিলবার্টের বলা), সেটা আসলে দুটো বিপরীত -ধর্মী তরল – vitreous (যাকে পরে আমরা জানব + charge বলে) আর resinous (পরে -ve charge)। তিনিই প্রথম বের করেন যে কেউ বিদ‍্যুতের পরিবাহী (conductor), কেউ অপরিবাহি (insulator)।

ইলেকট্রিসিটির পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ব‍্যাপারে এক প্রধান সমস‍্যা ছিলো যে কোন পরীক্ষা করতে গেলে স্ট‍্যাটিক চার্জ তৎক্ষণাত তৈরী করে সাথে সাথেই ব‍্যবহার করতে হতো, চার্জ জমিয়ে রাখার উপায় ছিল না। 1740 সালে জার্মানীতে এক যন্ত্র আসলো যার নাম Layden Jar। এতে ইলেকট্রিক চার্জ ধরে রাখা যেতো, পরে সুবিধে মতো এক্সপেরিমেন্টের সময় চার্জকে ব‍্যবহার করার জন‍্য। এই যন্ত্র বেরিয়ে ইলেকট্রিসিটির ওপর পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানোর অনেক সুবিধে হয়। Leyden Jar পরে উন্নত হয়ে 20,000 volt – 60,000 volt চার্জ ধরতে সক্ষম হয়। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঝড়-বাদলের সময়ের বিদ‍্যুতের চার্জকে Layden Jar এ ধরে রাখেন।

Leyden Jar and process of storing charge in it.

 

1752 তে আমেরিকাতে বেঞ্জামিন ফ্র‍্যাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায‍্যে বৃষ্টির দিনের মেঘের বিদ‍্যুৎ থেকে ইলেকট্রিক চার্জ সংগ্রহ করে Leyden Jar এ ধরে রাখেন। এক বছর পর 1753 তে এই পরীক্ষা করতে গিয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানী জর্জ উইলহেলম রিকম‍্যান সেন্ট পিটসবার্গে বিদ‍্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান।

Death of Richmann in 1753 at St. Pittsburgh, Russia, on being struck by lighting while he was experimenting with it.

 

এতদিন অবধি সব পরীক্ষাই হয়েছিল ম‍্যাগনেটের ব‍্যবহার ছাড়া। সব স্ট‍্যাটিক ইলেকট্রিসিটির ওপর। ইলেকট্রিসিটির অন‍্য রূপ তখনও জ্ঞানের বাইরে।

ভারতে সমসাময়িক 1757 তে পলাশীর যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভ এবং ওয়ারেন হেস্টিংসের দল বিজয়ী হয় এবং ভারতের মাটিতে বাংলার বূকে ইংরেজ রাজত্বের সূচনা হয়। দিল্লীতে তখনো হতগৌরব মোগল সাম্রাজ‍্যের অন্তিম চরণ চলছে।

( এর পর পরের পর্বে)

About the author

Amitabh Moitro

Amitabh Moitro, age 67 years, had worked in a nationalised bank for long years. He has since retired and lives in Goa

 

Madhab Kumar Pal

Madhab Kumar Pal (67 yrs) is an Electrical Engineer. After spending his entire working life with SAIL at it’s various units, he is now spending his retired life at Kolkata. He regularly writes for various magazines.