পঁচাত্তরের হিসেব-কিতেব by Arijit Choudhuri

পঁচাত্তরের হিসেব-কিতেব

যবে হিসাব দেখিতে মন মোর হ’ল রাজি

ভারতের স্বাধীনতার পৌনে এক শতক কেটে গেল। ব্যক্তির পক্ষে, এমন কি বেশ দীর্ঘজীবী মানুষের পক্ষেও সময়টা অনেক, জাতির পক্ষেও এতগুলো বছর কম নয়। তাই হিসেব করাই যেতে পারে। আমার তো মনে হয় প্রতি কুড়ি বছরে বেশ সমারোহের সাথে এটি করে নথিবদ্ধ করলে হঠাৎ একসাথে এত লম্বা কাজ নিয়ে বসতে হয় না, বা ‘কিসসু হয় নি’ আর ‘সব হয়েছে’র তথ্যহীনতার দোলাচলে দুলতে হয় না। দুটো মত-ই অতিকথন হলেও দু’য়ের মধ্যেই ভাল দিক আছে। ‘হয় নি’র দল নতুন কিছু করতে চান- কিন্তু কাছের অতীতকে তুচ্ছ করায় তাঁদের পায়ের নীচের জমির ওপর ভরসা কম। কেঁচে গণ্ডুষ শুনতে ভাল লাগলেও তাতে খরচ বেশি, সময়ও লাগে খুব আর নতুন কিছু করার পর অবস্থা অনেক সময় আগের চেয়ে খারাপ হয়। ‘সব হয়েছে’র দলে উদ্যমের অভাব হওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা (সব-ই তো হয়ে গেছে)। সেটা চলে না কারণ আমরা বাস করি সতত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় যেখানে সুখ বা সমস্যা দুটোর চেহারাই বদলে যেতে থাকে। 

কি পেয়েছি

১৯৫০-৫১ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ৫১ মিলিয়ন টন থেকে প্রায় ছ’গুণ বেড়ে ৩১৫ মিলিয়ন টন-এ পৌঁছে গিয়েছে। এর ফলে এক সময় শস্য আমদানী করতে বাধ্য হওয়া ভারত মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলিতে খাদ্য রপ্তানী করছে। 

ঐ একই সময়ে এ দেশে দুধের উৎপাদন ১৭ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২১০ মিলিয়ন টন (১২গুণ), আর মাছ আর ডিমের উৎপাদন পৌঁছে গেছে যথাক্রমে ০.৭ থেকে ১৪.৫ মিলিয়ন টন-এ (২০গুণ) এবং সংখ্যায় প্রায় দু’ বিলিয়ন থেকে ১২২ বিলিয়ন-এ (৬০গুণ)।

এবার ৩৬ থেকে ১৪০ কোটি (৪গুণ) জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে ওপরের তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায় বিজ্ঞানচর্চা ও পরিকল্পনা আমাদের জীবনে কতটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে, বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ভারতের অনেক চাষযোগ্য জমি বাড়িঘরের নীচে চলে যাওয়া সত্ত্বেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে এরকম চমকপ্রদ উন্নতি ঘটেছে।

এবার শিক্ষা আর আয়ু’র দিকে দেখুন, সাক্ষরতার হার ২০% থেকে ৭০% এর ওপর আর গড় আয়ু তিরিশের কোঠা থেকে বেড়ে এখন সত্তরের ঘরে। অনেকেই খেয়াল করেন না, একসাথে স্বাধীন হওয়া পাকিস্তানীদের মাথাপিছু আয় ১৯৪৭ সালে ভারতীয়দের চেয়ে বেশি ছিল, এখন তারা কতটা নীচে তার খোঁজ পাওয়া মুশকিল। 

স্বাধীনতা পরবর্তী এতগুলি বছরে ভারতের অর্জন সংক্রান্ত তালিকা আর তথ্যের ভার না বাড়িয়ে এবার অন্যদিকে তাকানো যাক।    

পার্থিব পরিস্থিতি

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যার অবস্থা করুণ। দেশগুলোতে অল্পবয়সী কর্মক্ষম লোকের অনুপাত ভয়ানক রকম কমে যাচ্ছে। জাপান সহ এসব দেশে খুব শিগগির-ই প্রচুর লোক লাগবে। ইংরাজী এখন সবচেয়ে বহুল প্রচলিত ভাষা হওয়ায়, ভারতে ইংরাজির চল থাকায় আর ভারতীয়রা নরম প্রকৃতির কুশলী মানুষ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এমন কি আরব দুনিয়াতেও ইয়েমেনি, পাকিস্তানি বা মিশরীয় মুসলমানের চেয়ে জাতিধর্ম নির্বিশেষে ভারতীয়দের চাহিদা বেশী। অনেকেই বলেন রোবট দিয়ে কাজ চলবে, কিন্তু সেগুলোকে ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য লোক লাগবেই। 

শারীরিক শ্রমের একটা বিরাট অংশ যন্ত্রভিত্তিক হয়ে যাওয়ায়, অকুশলী লোকের প্রয়োজন সব দেশেই কমে আসছে। চীনাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও তারা বিশ্বময় ছেয়ে গিয়েছে তাদের শিক্ষা ও কুশলতার কারণে। এখনকার ভারতে প্রায় সত্তর কোটি মানুষের বয়স পঁয়ত্রিশের নীচে। এদের আধুনিক শিক্ষার আলো দিতে পারলে এরা দুনিয়া জয় করতে পারে। সত্যি কথা বলতে, তাদের জন্য বহির্বিশ্ব অপেক্ষা করে আছে।

কান্না তবু থামে না যে

ভারত অনেক উন্নতি করলেও গণতান্ত্রিক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল এবং জাপান একই সময়ে তুলনামূলক  ভাবে অনেক বেশী ভাল করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬০ -এ দক্ষিণ কোরিয়া-র তুলনায় ভারতের মাথাপিছু আয় ৪৯% কম ছিল, এখন সেই তফাৎ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪%। 

২০১৯-এর জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা (NFHS-5) বলছে, পাঁচ বছর থেকে কম বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে প্রায় ৩০% অপুষ্টির শিকার। ছোটবেলার এই সমস্যা এসব বাচ্চাদের বয়স্ক হবার পরও তাড়া করতে থাকে। তাদের মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করতে থাকে। এটা শুধু তাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, দেশেরও ক্ষতি, কারণ এরা বেঁচে থাকার জন্য প্রায়ই পরমুখাপেক্ষী হয়ে হাসপাতালের সীট ভরিয়ে রাখে। 

শহরের কিছু ভাল স্কুল-কলেজ বাদ দিলে দেশের শিক্ষার অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে ভারতের প্রাণ বাস করে সেই গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই, পড়ার পরিবেশ নেই। কম্পিউটারের কথা বাদ দিন, যথেষ্ট বই-ও নেই। প্রাইভেট টিউশনে স্কুলছাত্রদের ভিড় বাড়ছে- ২০১৮ সালে ৩০% ছাত্র যেতো, ২০২১ সালে যাচ্ছে ৪০%। টাকা থাকলে বাকি ৬০%-ও হয়তো টিউশনে যেতো। মানে দাঁড়াচ্ছে, ভারতের স্কুলশিক্ষার ওপর ভরসা ক্রমহ্রাসমান। শিক্ষা পিরামিড-এর ওপরে সরের মত পাতলা স্তর যেখান থেকে অমর্ত্য-অভিজিৎ-সত্য-সুন্দর বেরিয়ে এসেছেন, তার মান অতি ভাল হলেও নীচে ঘন-গহন অন্ধকার। স্বাধীনতার পরে নতুন দেশের বড় বড় কারখানা, বাঁধ, গবেষণাগার ইত্যাদি চালানোর জন্য অতি দ্রুত উচ্চশিক্ষার উচ্চমানের যে মডেল গড়া হয়েছিল, সেটিকে নকল করেই কাজ চালানো হচ্ছে। পিরামিডের নীচের অন্ধকার সাধারণ মানুষের স্কুলশিক্ষার দিকে পরবর্তী নীতি-নির্ধারকদের নজর সে ভাবে যায় নি, যার ফলে ক্লাস এইটের ছাত্র তিন সংখ্যার গুণ করতে অক্ষম আর ক্লাস ফাইভে নিজের ভাষায় লেখা পড়তেও অসুবিধা হওয়ার মত বিচিত্র করুণ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।    

এ দেশে জাত-পাত প্রায় অমরত্ব লাভ করেছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি খৃষ্টান ও মুসলিমকে বৈবাহিক সম্বন্ধের ক্ষেত্রে জাতবিচারে বসতে দেখেছি। জাতপাতের কথা তবু আলোচনা হয়, আপাততঃ লুকিয়ে থাকা একটি বিষয় হ’ল দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা জনবৈষম্য- হিন্দিবলয় আর মেঘালয় ছাড়া ভারতের সব অঞ্চলেই লোক কমছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান টেনশন নিয়ে মনিপাল-ইনফোসিসখ্যাত মোহনদাস পাই আর অর্থনীতিবিদ স্বামীনাথন আইয়ার ইদানীং আলোচনা করলেও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এ নিয়ে তেমন চিন্তার কথা চোখে পড়ছে না।

খাদ্য-উৎপাদন অনেক বাড়লেও, ফুড কর্পোরেশনের সংগ্রহ করা শস্য বছর বছর পচে গেলেও এ দেশের বহু মানুষ অভুক্ত থাকেন। গা সওয়া হয়ে যাওয়ায়, বুঝতে না পারলেও এই পাপের মূল্য আমদের নানা ভাবে দিতে হচ্ছে। 

ভারত যে রকম- অন্যরকম 

বিশেষ করে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাবার পর ভারতের মত বৈচিত্র্যময় দেশ এখনকার দুনিয়ায় আর একটিও চোখে পড়ছে না। বিজ্ঞাপনগুরু পীয়ূষ পাণ্ডে লিখছেন, ‘ভারত একটি দেশ নয়, মহাদেশ; এমন এক মহাদেশ যেখানে প্রতি একশ’ কিলোমিটারে বদলে যেতে থাকে বাগভঙ্গী (ডায়ালেক্ট) আর খাদ্যরুচি।‘এ রকম দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকার একমাত্র উপায় হ’ল বিবিধের মাঝের একতার সুরটি ধরা, যেটি ভারতের সংবিধান ও বিচারব্যবস্থায় করার ফলেই ভাষা, খাদ্য ও ধর্মের অনেক তফাৎ সত্ত্বেও এ দেশ ৭৫ বছরে টুকরো হয় নি অথচ এক ধর্মাবলম্বীর দেশ পাকিস্তান দ্বিতীয়বার ভেঙ্গে  যাওয়ার মুখে (বালুচিস্তান)। শুধু তাই নয়, তাদের বদনাম এত প্রবল যে, দেশের বাইরে বহু পাকিস্তানি নিজেদের ‘ভারতীয়পরিচয় দিয়ে স্বস্তি পান।

যে মানুষ বা দেশ নিজের স্বকীয়তা ভুলে নিজের গুণকে দোষ মনে করে তার পতন অবশ্যম্ভাবী। ভারতের শক্তি তাঁর একসাথে কাজ করার ক্ষমতা, সমবেত ঐশ্বর্যসৃষ্টি। ভারতীয় হিন্দু ইন্দোনেশিয়া বা নেপালের হিন্দুর মত নয়, ভারতের মুসলমানরাও আরবের মুসলমানদের থেকে আলাদা। তাঁরা ভয়ানক রকম বহুবিবাহ করেন শুনে একদিন স্মৃতিভাঁড়ারে উঁকি মেরে দেখি নিজের শহরে আর ভারতের নানা অঞ্চলের রিকশওয়ালা থেকে বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক যে সব মুসলমানদের দেখেছি তাদের কারোই একাধিক স্ত্রী ছিল না। যখন শুনি, হিন্দু-মুসলমান একসাথে কাজ করা অসম্ভব, তখন (আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দ্বারা ভূয়সী প্রশংসিত) ২০১৯ সালে অক্সফোর্ড ইউনিয়নে শশী থারুরের বিতর্ক ভাষণ মনে পড়ে। উনি বলেছিলেন ইংরেজরা যখন আসে তখন বিশ্বব্যবসায়ের ২৩% ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই বিপুল উৎপাদনশীলতা কি হিন্দু-মুসলমানের যৌথ উদ্যোগ ছাড়াই সম্ভব হয়েছিল? মুসলমান শাসকরা যদি পালে পালে হিন্দুকে ধর্মান্তরণ করে ফেলত, তাহলে মহম্মদ ঘোরি থেকে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর পর্যন্ত তারা প্রায় সাড়ে ছ’শো বছর রাজত্ব করার পর এখনকার ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সমবেত জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭০% হিন্দু থাকে কি করে? যদি একসাথে কাজ না-ই করতে পারে তাহলে নেতাজী, পৃথ্বীরাজ, শিবাজীর সৈন্যদলে মুসলমান সেনাপতিরা আর আমাদের গবেষণাগারে আব্দুল কালাম কি করছিলেন? ১৮৫৭-র সিপাহী বিদ্রোহ যাকে সাভারকর আর কার্ল মার্ক্স স্বাধীনতা সংগ্রাম বলেছেন তাতেও কি হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করে নি, প্রাণ দেয় নি? 

বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন পশ্চিমী দেশগুলি দেখেছে নানা ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ একসাথে থাকলে কাজ ভাল হয়, তার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে কাজ করার জন্য পৃথিবীর নানা কোণ থেকে অনেক খরচ করে মানুষ যোগাড় করে। ভারতীয়রা সে- সুযোগ এমনি পায়। বিবিধের মিলন যে কত ভাল, তা ভারতের সর্বভারতীয় গবেষণা সংস্থাগুলিকে দেখলে বোঝা যায়। পঁচাত্তর বছরেও কোন রাজ্য আইআইটি, আইআইএম বা এআইআইএমএস-এর মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে নি। 

ঐক্য আর বৈচিত্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠার ফলে ভারতীয় মনে একটি নমনীয়তা, নানা পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেবার ক্ষমতা আপনা থেকেই লীন হয়ে থাকে। বিশ্বায়নের যুগে এটি আরও প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই পৃথিবীর বহু বড় কোম্পানির মাথায় আর বিদেশের মন্ত্রীসভায় ভারতীয়দের দেখে আর অবাক হয় না কেউ। 

অমিয় সাগরের তীরেতে বসিয়া 

ইংরাজ শাসনের রাহুগ্রাস একটু একটু করে কাটিয়ে আমাদের দেশ আজ এক অসীম সম্ভাবনার মুখোমুখি। নিজেদের মধ্যে কাজিয়া করে ক্রোধান্ধের নৃত্য করতে করতে ভস্মাসুরের মত নিজের মাথায় হাত দিয়ে ধ্বংস ডেকে না আনলে ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। উদাহরণের অভাব নেই- যখন প্রাকৃতিক সম্পদে ঈর্ষণীয় রকম ধনী আফ্রিকার দেশগুলি নিজেদের মধ্যে প্রাচীন ঝগড়ার কারণে স্বাধীন হয়েও সকলের কৃপাপাত্র হয়ে আছে তখন অধুনার বিশ্বযুদ্ধে একে অন্যের টুঁটি টিপে ধরা জার্মানি, ফ্রান্স অথবা ইজরায়েলের ইহুদি আর ব্রিটিশ হাত ধরাধরি করে জাগতিক উন্নতির রাস্তায় এগিয়ে চলেছে। 

এসব সমসাময়িক দৃশ্যমালাকে উপেক্ষা করে নিজেদের ছোট ছোট ফারাককে বড় করে দেখা আর তার সমাধান হিসেবে, ধোঁয়াটে ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে সেই সময়কার রাজারাজড়ার সাথে ধর্মকে জড়িয়ে ধরলে কি হয় তার সাক্ষ্য দিচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর আরব ভুখন্ড। প্রথম দুটি দেশে জীবন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এক সময়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশ্বের দিগদর্শক আরব এখন সে সব ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরমুখাপেক্ষী।

ধর্মকে আঁকড়ে বড় হবার দুর্বার নেশা যেন আমাদের বিবিধতাকে আমাদের সাধারণ বুদ্ধি আর উদ্ভাবনী শক্তিকে মেরে না ফেলে। রবীন্দ্রনাথের এ দু’টি প্রাসঙ্গিক সাবধানবাণী মনে রাখলে পাকিস্তানের আজকের পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবে অনেক সহনীয় হতো-

“যে দেশ প্রধানত ধর্মের মিলেই মানুষকে মেলায়, অন্য কোন বাঁধনে বাঁধতে পারে না সে দেশ হতভাগ্য।”

“ধর্মের জায়গায় দেশকে বসালে দেশেরও ক্ষতি, ধর্মেরও ক্ষতি।“

ভারত সম্প্রীতির, বিবিধতার সাথে উন্নতির নিজস্ব অমৃতময় পথ খুঁজে পাক; পৃথিবীকেও সে পথে পরিচালিত করে অতীতের গৌরবে নয়, বর্তমানের অর্জনে বিশ্বগুরু হয়ে উঠুক- স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তীতে আমাদের মাতৃভূমির জন্য, আমাদের নিজেদের জন্যও, এই শুভেচ্ছা রাখি। 

-অরিজিৎ চৌধুরী

তথ্যসুত্র

    • Poor Economics: Abhijit Ganguly and Esther Duflo

 

  • Pandeymonium: Piyush Pandey

 

 

 

পঁচাত্তরের হিসেব-কিতেব by Arijit Choudhuri

9 thoughts on “পঁচাত্তরের হিসেব-কিতেব by Arijit Choudhuri

  • August 14, 2022 at 4:52 pm
    Permalink

    Excellent piece of analysis. The author has rightly identified the strength of this country. ধর্মের জায়গায় দেশকে বসালে দেশেরও ক্ষতি, ধর্মেরও ক্ষতি. Kudos to the author

    Reply
    • August 18, 2022 at 11:25 pm
      Permalink

      Population is the root cause of the present state of affair . Biggest fallout is corruption and poverty . Above all is deep rooted caste system .Our politics revolves around encouraging caste system and exploitation of the majority poverty stricken section reflected in the competition among major political parties in distributing doles and opening up avenues of further corruption and not education and other social welfare measures in uplifting the mass .The focus is somewhere else . Political parties need money to survive and fight election . Power is the road to amass immense personal wealth too. So this is a vicious cycle .The change is supposed to be brought by the political class and the quality of our political class does instill confidence ? These are ruining India.Caught in these , inspite of immense possibility we are achieving little, too little to be a prosperous super power . We are just witnessing sporadic developments . All economic theories are bound to fail .

      Reply
      • September 14, 2022 at 6:02 pm
        Permalink

        Population used to be a prime reason for poverty, but scientific development has removed it from that position. Today the reasons lie elsewhere. For example,
        Switzerland, Germany and Gambia have similar density of population per sq. km. Japan is more thickly populated than Pakistan. I tried to address the issue in my next blog which you may like to see.

        Reply
  • August 14, 2022 at 4:52 pm
    Permalink

    Very informative and truly brought out achievements Vs ground level realities. Thanks Sir.
    You have brought out many facts and one of the important one, as per my opinion is population growth, from 36 to 140 crores. According to me its the Mother of all non achievable targets as brought out by you.
    I am a frequent visitor of EU countries. What I see, most achievements by public at large is due to less, much less papulation. Large amount of resources are made available to them and they are well enjoying them.
    Thanks very much Sir.

    Reply
    • September 14, 2022 at 6:02 pm
      Permalink

      Thank you very much for your comments.

      Reply
    • September 14, 2022 at 6:04 pm
      Permalink

      Thank you very much for your comments.Thank you very much.
      Regards

      Reply
  • August 15, 2022 at 8:58 pm
    Permalink

    Excellent panoramic overview of 75 years of independence. Identification of key issues is also done with a keen eye.

    I would like to add one key weakness I have found on last 50 years of working life. Indians don’t have faith in their own ability. This is probably due to 1000 years of being ruled under external tyrants. This broke our spine once for all. Corruption is simply an expression of that spineless mess because the only way to shine under a foreign rule was thru corruption, bribe, passing on information of rebels. Thus we as Indians learn from birth that you cannot become big unless you are born in a big family of high caste or you know someone big or you take the path of ruthless corruption. It is no use complaining our political leaders of corruption or pseudo businessmen of stealing. Tell me is there a single policeman that you believe doesnot take bribes. I think the answer is obvious.

    Finally it comes down to our absolute lack of faith in ourselves. Unless our spine gets repaired in course if time with more and more proofs that we can succeed being real men not being a charlatan guru or a phoney industrialist who simply import things and sell in India.

    My thoughts were ignited reading your excellent article. I hope more discussions will follow.

    Reply
    • September 14, 2022 at 6:06 pm
      Permalink

      Your comments itself is an article to stimulate one’s thought.
      Thank you very much.

      Reply
  • October 12, 2022 at 7:32 am
    Permalink

    Good day! This is my first visit to your blog! We are a team of volunteers and starting a new initiative in a community in the same niche.
    Your blog provided us useful information to work on. You
    have done a marvellous job!

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *