যাহা আছে ভারতে

যাহা আছে ভারতে 

জাতির ছবি

আমার বিদেশী ভাষা শেখার ভার্চুয়াল আসর, জার্মানিতে মেয়ের কাছে সেখানকার ছাত্র-শিক্ষকের আলোচনা সহ দেশবিদেশে প্রায় সর্বত্র শুনতে পাই ভারতীয়দের সুনাম। মাথার কাজে চীনা আর ভারতীয় মানুষ এখন প্রায় সারা পৃথিবীর কাছেই ’না হলে চলবে কি করে’ ধরণের জনগোষ্ঠী, একশ’র বেশী দেশ প্রত্যক্ষ দেখা আমেরিকান লেখক ও বক্তা ডেনিস ওয়েটলি বলেন, আমেরিকায় আমি যে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে যাই, তারা ভারতীয়। ভারতীয়রা একে অন্যের প্রতি বেশী সহানুভূতিশীল।  

অন্য দিকে, ভারতীয়দের সাথে পশ্চিমীদের তফাৎ বোঝাতে বিবেকানন্দ লিখছেন, “আমাদের রান্নার মতো পরিষ্কার রান্না কোথাও নেই। বিলেতি খাওয়ার মতো পরিষ্কার পদ্ধতি আমাদের নেই। আমাদের রাঁধুনি স্নান করেছে, কাপড় বদলেছে, হাঁড়িপত্র, উনুন- সব ধুয়ে মেজে সাফ করেছে, নাকে মুখে হাত ঠেকলে তখনি হাত ধুয়ে তবে আবার খাদ্যদ্রব্যে হাত দিচ্ছে। বিলাতি রাঁধুনির চৌদ্দপুরুষে কেউ স্নান করেনি ; রাঁধতে রাঁধতে চাখছে, আবার সেই চামচ হাঁড়িতে ডোবাচ্ছে।……  আমরা দিব্যি স্নান করে একখানা তেলচিটে ময়লা কাপড় পরলুম, আর ইউরোপে ময়লা গায়ে, না নেয়ে একটি ধপধপে পরিষ্কার পোশাক পরলে।”

করণ থাপারের সাথে ইন্টারভিউ-এ আরব দেশগুলিতে বহুদিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা তালমিজ আহমেদ বললেন, ওখানে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ভারতীয়দের চাহিদা বাড়ছে, কমছে আফগান জিহাদে ভাগ নেওয়া ইয়েমেনীদের সংখ্যা। ১৯৮০র দশক থেকে ভারতীয়রা ওখানে প্রেফার্ড কম্যুনিটি। সৌদি আরবে ১৯৮২ সালে ৩০ লক্ষ ইয়েমেনী, ৫ লক্ষ পাকিস্তানি, ১০ লক্ষ মিশরীয় আর ২.৫ লক্ষ ভারতীয় কাজ করতেন। ১৯৯০ সালের গুনতিতে ইয়েমেনীরা শূন্য, পাকিস্তানি আর মিশরীয়রা একই জায়গায় ভারতীয়রা চার গুণ বেড়ে ১০ লক্ষ। সৌদিরা ভয় পাচ্ছে, জিহাদ তাদের দেশকেও গ্রাস করবে। তারা লক্ষ্য করেছে, চীনের উইঘুর মুসলিমরাও জিহাদে গিয়েছিল কিন্তু ভারতীয়রা জিহাদে অংশ নেয় নি। তাদের অভিজ্ঞতায়, ভাষা ও ধর্মনিরপেক্ষভাবে ভারতীয়রা কর্মকুশল, শৃঙ্খলাপরায়ণ আর স্থানীয় রাজনীতিতে অংশ নেয় না। তাই স্বধর্মী ইয়েমেনী, পাকিস্তানী বা মিশরীয়দের থেকে বিধর্মী ভারতীয় হিন্দু, ক্রিশ্চান, শিখ বা পার্সি তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।

এবার ছবি ব্যক্তিগত, পারিবারিক 

জার্মানিতে অনেকের সাথে আলাপ হ’ল। তারা মেয়ের কাছে আড়াই মাস থাকব শুনে অবাক। একজন জার্মান তো মা’র সাথে ভিন শহরে পালপার্বণে দেখা করতে গিয়ে হোটেলে থাকে। লন্ডনের এক ডাক্তারের সাথে কথা হচ্ছিল। তার ছেলে গ্রামার স্কুলে সুযোগ পাওয়ায় খুশি। সে স্কুলে ভর্তি হবার পরীক্ষা শক্ত। কারা পড়ে? জিজ্ঞেস করায় বললেন মাত্র ৫% আদতে বৃটিশ, বাকি ৯৫% চীন, ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা থেকে আসা অভিবাসীদের সন্তান। চেন্নাই-এর আর এক ডাক্তার বলছিলেন, তাঁর আমেরিকায় থাকা বোনঝি স্কুলে খুব ভাল করছে। আমেরিকার স্পেলিং বি প্রতিযোগিতা যাতে খুব শক্ত আর অপরিচিত ইংরাজি শব্দের বানান জিজ্ঞেস করা হয়, তাতেও বছরের পর বছর ভারতীয়রা চ্যাম্পিয়ন হয়। 

আর একজন ভারতীয় শিক্ষিকা লন্ডনের প্রাথমিক স্কুলে ‘তোমরা বড় হয়ে কি হতে চাও?’ জিজ্ঞেস করায় বেশীর ভাগ ব্রিটিশ বাচ্চা প্লাম্বার, ড্রাইভার, ইলেক্ট্রিশিয়ান ইত্যাদি হবার কথা বলে আর ভারতীয়রা বলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক হবার কথা। স্মরণকালের মধ্যেই যাদের পূর্বজরা পরাধীন ছিলেন, তাদের এত উচ্চাশা বিস্ময় জাগায়।

 

আশার বাতাস 

ভারতের প্রগতির, চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জায়গায় উচ্ছ্বাস অমূলক নয়। আইটি’র দুনিয়ায় কিছুটা শ্রমিকের কাজ নিয়ে ঢোকা ভারত ঐ বিষয়ে উচ্চস্তরের কাজের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় বুদ্ধিমত্তার সুযোগ নিতে অনেক বহুজাতিক সংস্থা শুধু তাদের কর্পোরেট বোর্ডে ভারতীয়দের বসায় নি, তারা এ দেশে অনেক বৈশ্বিক ক্ষমতা কেন্দ্র খুলেছে (Global Competency Centre)। বেঙ্গালুরুর এক জ্ঞানগম্যিওয়ালা আমাকে বললেন আইটি’তে মজদুরি জাতীয় কাজ এখন পূর্ব ইউরোপে সরিয়ে ভারতীয়  প্রতিভাধরদের সৃষ্টিশীল কাজ ও আকাশছোঁয়া মাইনে দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের আগেকার অভিশাপ ‘জনসংখ্যা’ এখন ক্রমাগত জন-সঙ্কোচনের মুখোমুখি জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, গ্রীস বা ইতালির কাছে ঈর্ষার কারণ। অর্থনীতিবিদ স্বামীনাথন আঙ্কলেশ্বরিয়া আইয়ার অনেক আগে পৃথিবীর নানা দেশের অবস্থা পর্যালোচনা করে দু্টি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। একটিতে ব্যাখ্যা করেছিলেন জনসংখ্যাবৃদ্ধি কেন বড় সমস্যা নয়; আরেকটিতে দেখিয়েছিলেন, ধর্ম, রাজনীতি বা সৈন্যদল দীর্ঘকাল ধরে কোন দেশকে প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে না, সেটি পারে উৎকৃষ্ট বিদ্যায়তন, বিচারালয়, গবেষণাগার ইত্যাদি বহু নিরপেক্ষ, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। ভারতের স্বাধীনতার প্রায় ঊষাকালে এরকম অনেক সংস্থা গড়ে ঊঠেছিল, যার সুফল আজ ফুটে উঠে বহির্বিশ্বের কাছে ভারতীয়দের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলেছে। ধর্মের জন্য নয়, বহু যোগ্য ও শক্তিশালী নেতা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান রসাতলে যাচ্ছে এই কাজটি এড়িয়ে যাওয়ায়। ওদিকে দেখুন, ইজরায়েল পাকিস্তানের মত ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হয়ে, জন্মলগ্ন থেকে প্রায় সব সময় জোড়াতাড়া দেওয়া (কোয়ালিশন) সরকার নিয়েও এরকম সংস্থার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার ফলে আজ বহু বিষয়ে বিশ্বে প্রথম সারির আসনে প্রায় স্থায়ী অধিকার অর্জন করেছে। 

ভারতের স্কুলগুলো যে কিছুতেই ঠিক করা যাচ্ছে না- সে সমস্যাও প্রায় উবে যাওয়ার মুখে। এক আইটি’র ভদ্রলোক সুন্দরবনের কিছু বাচ্চাকে একটা চলনসই ধরণের কম্পিউটার আর বাঁশের ডগায় একটা সোলার প্যানেল লাগিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করে দেখেন বাচ্চারা নিজেদের চেষ্টাতেই কম্পিউটার আর ইংরাজী ভাষা শিখে যাচ্ছে। আর স্কুলে ভাল শিক্ষক না থাকলেও ইন্টারনেটে ফ্রী ক্লাসের অভাব নেই।

ভারতীয়দের বৈশিষ্ট্য

পারিবারিক বন্ধন – পশ্চিম ও কিছুটা পূর্ব ইউরোপের অভিজ্ঞতায় মনে হয় ওখানে তরুণদের সাথে বয়স্কদের সম্পর্ক হৃদয় থেকে নির্বাসিত হয়ে পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন-এ পৌঁছে গেছে। একটি বৃহৎ অংশের বাবা-মা, ভাইবোনদের মধ্যে মন-কষাকষি করার মত যোগাযোগও নেই। ভারতে এখনও তা হয় নি। এখনই আমাদের চেনা একটি বাঙ্গালী পরিবারের বাবা-মা আর একটি তেলুগু পরিবারের দু’জন অভিভাবক মেয়ের সহায়তা করতে যথাক্রমে আমেরিকা ও কানাডায়। এ রকম ক্ষেত্রে ইউরোপীয় অভিভাবক পালিয়ে বাঁচেন, তাও দেখেছি। টানাপোড়েন, মনোমালিন্য যা-ই থাকুক, পরিবার সর্বক্ষেত্রে ভারতীয়দের আজও ঘিরে থাকে অদৃশ্য একটি সেফটি নেটের মত। 

ওপরে উল্লিখিত দুই ডাক্তারকে ভারতীয় বাচ্চারা এত ভাল করছে কেন জিজ্ঞেস করায় দুজনই পারিবারিক শান্তি ও সমর্থনের কথা বললেন। উচ্চশিক্ষার কথা তারাই বেশী ভাবে যারা জানে ১৮ বছর হলেই তাদের বাবা-মা নিজেরা চরে খাওয়ার উপদেশ দেবেন না। 

শান্তিপ্রিয়তা- ভারতীয়দের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিবেকানন্দ লিখছেন, “আমরা শান্তিপ্রিয়, চাষবাস করে, শস্যাদি উৎপন্ন করে শান্তিতে স্ত্রী-পরিবার পালন করতে পেলেই খুশি। তাতে হাঁপ ছাড়বার অবকাশ যথেষ্ট; কাজেই চিন্তাশীলতার অবকাশ অধিক।” প্রাচীন ভারতের যে জ্ঞানচর্চার জন্য আর আধুনিক ভারতে যে তথ্যপ্রযুক্তির জন্য আমরা গর্ববোধ করি তার মূল কারণ শান্ত পরিবেশ- যা উদ্ভাবনের সময় দেয়, ভাবনাকে বিকশিত করে। আরবদের ভাবনার সূত্র ধরে নিজেদের বুঝতে হবে যে ভারতীয়রা-ভারতের হিন্দু, ভারতের মুসলমান, ভারতের ক্রিশ্চানরা অন্যদের মত নয়- অহর্নিশ দ্বন্দ্ব তাদের পথ নয়।

ক’টি কার্যকরী উদ্ধৃতি  

একটি প্রচলিত কথা হল, “নিজের মত থাকো (Be yourself*)।”

দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার সাবধান করে বলেন, “আমরা অন্যদের মত হবার চেষ্টায় নিজেদের তিন-চতুর্থাংশ বিসর্জন দিই (We forfeit three-fourths of ourselves in order to be like other people.)।“ 

দুটি উদ্ধৃতিই মনকাড়া ধরণের। তবু তাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে বিপদ। কাউকেই অবজ্ঞা করা নয়, কাউকে অন্ধবিশ্বাসও নয়। নিজেকে খুইয়ে ফেলা আর ‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও’ ধরণের গোঁয়ার্তুমি কোনটাই উন্নতির রাস্তা নয়। কারণ, 

যেই কথাটি আজকে বেঠিক, কালকে সেটি-ই ঠিক

যুগে যুগে জ্ঞানীরা তাই গুলিয়ে ফেলেন দিক।

বিবেকানন্দ বলছেন, আমরা ঘরের ভিতরে পরিষ্কার হলেও “স্তূপাকৃতি ময়লা দোরের বাইরে পচতে দিই।… (আমাদের মত) ঘর পরিষ্কার চাই, (ইউরোপিয়ানদের মত) রাস্তাঘাটও পরিষ্কার চাই।” অর্থাৎ, ‘শুধু নিজের মত থেকো না, আর একটু ভাল, অন্য কেউ হও (Don’t be yourself—be someone a little nicer.*)। আত্মবিশ্বাসী হও; নিজের ভালটুকু ত্যাগ না করে আহরণ কর অন্যের ভাল বিষয়গুলি।

আজকাল ভারত নিয়ে গর্ব ও উৎসাহ অযথা প্রমাণবিহীন প্রাচীনকালে বিচরণ করে। সত্যি হলেও তথ্যপ্রমাণ না থাকলে তা কে বিশ্বাস করবে? আমরা কি বর্তমানের অর্জনেই যথেষ্ট ধনবান, ঈর্ষণীয় নই? অন্তরে অবগাহি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা প্রয়োজন।

                                                                                                 -অরিজিৎ চৌধুরী

* উৎস অজ্ঞাত

তথ্যসূত্র 

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য- স্বামী বিবেকানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা 

Watch | ‘Forget Dubai, Most West Asian States Are Weak and Violent’: Talmiz Ahmad (thewire.in)

https://swaminomics.org/indias-golden-era-does-not-lie-in-the-past-it-has-just-begun/

https://youtu.be/DHKuOexVW4o?si=euUi3CtDeVVFEePd

https://youtu.be/RTu3DeWfJ44?si=LH-dpD9_8bIajbam

Many other sources on the internet

 

About the author

Arijit Choudhuri, located in Navi Mumbai, petroleum geologist by profession. Also interested in issues concerning pollution, climate change and fast depleting groundwater reserves.Travelling, reading, writing articles, composing rhymes and recitation are his hobbies.

যাহা আছে ভারতে

5 thoughts on “যাহা আছে ভারতে

  • September 27, 2023 at 11:26 pm
    Permalink

    তোর লেখা পড়ার পর মনে হয় আমি অনেক কিছু নতুন করে, অন্য আঙ্গিকে দেখতে শিখছি।
    এসব তো শিক্ষক রা বা গুরুরা শেখায়।
    লেখা চালিয়ে না হলে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হব।
    ভালবাসা আর অভিনন্দন জানাই।

    Reply
    • September 28, 2023 at 7:13 am
      Permalink

      কোন লেখার সবচেয়ে বড় পুরষ্কার পাঠকের ভাল লাগা। অনেক ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ এই সাইটে লেখার জন্য। এতে শুধু লেখকের নয়, যাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে ওয়েবসাইট চালান তাঁরা বুঝতে পারেন যে মানুষ লেখা পড়ছে। এই উৎসাহটুকু দরকার। মন্তব্যের জায়গা খালি থাকলে মনে হয় নীরবতার হ্রদে ঢেউ তুলতে না পেরে কথাগুলি নিজেদের অক্ষমতায়, লজ্জায় সঙ্কুচিত হয়ে রইলো‌ যেন।

      Reply
    • September 28, 2023 at 9:42 am
      Permalink

      অরিজিৎদা,
      সঠিক মূল্যায়ন এর বোতাম টা সক্রিয় হয়ে উঠেছে তোমার লেখাটায়,বিশ্লেষণের প্রায় সবখানেই I যে শান্তিপ্রিয়তা আর কর্মকুশলতা আমাদের ছাত্র ও কর্মীদের উন্নতির মূলধন ছিল এবং আছে আজও, বিশেষত বিদেশে, তার জিওনকাঠি কিন্ত বরাবরই ছিল আমাদের দেশে। সঠিক আলো হাওয়া, আর উজ্জীবনের উর্বর পরিবেশে।
      ঠিক বলেছ তুমি,তারই সুফল ধারাবাহিক ভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে এখনও। জানিনা তার প্রতি সমান যত্নশীল আমরা একই রকম ভাবে কতদিন থাকতে পারবো । অথবা এখনকার মত পারলেও ,পরিকাঠামো আরও উন্নত করে বরাবর তা ধরে রাখার চেষ্টা করবো কিনা।
      যদি বলি প্রভাতই, বাকি পড়ে থাকা সমস্ত দিনের খানিক ইঙ্গিত বহন করে, তারই সাক্ষ্য নিয়ে সিঁদুরে মেঘ কিন্ত অধুনা আকাশের কোণে একটু আধটু দেখা যাচ্ছে।চলছে চলুক, বা যা চলছিল, তার আর অতটা প্রয়োজন নেই গোছের ভাবনা নিয়ে কি আমরা ইদানীং শিক্ষণ ব্যবস্থার ও শিক্ষায়তনগুলোর বিকাশের দিকে সমান ভাবে মনোযোগ দিতে পারছি? ভাবনার কোণে জন্ম নেয় সে কথাও।
      সুদূর বা কাছের অতীতের দিকে তাকিয়ে পিঠ চাপড়ানো, অবাঞ্ছিত দিবানিদ্রা না এনে দেয়! দারুণ ভাল লাগল তোমার লেখাটা,আর তারই প্রতিফলনে সবার সঙ্গে আলোকিত হলাম আমিও ।
      অনেক ধন্যবাদ তোমায় সুন্দর তথ্যভরা এই প্রতিবেদন টা পোস্ট করার জন্য।
      অনুরোধ রইল আরও লেখো।

      Reply
      • October 2, 2023 at 11:06 am
        Permalink

        সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। গোরু ঘোড়া হতে গিয়ে মারা যায়। নিজের ভাল দিকগুলো চিনতে না পারার ফল অরিজিন্যালিটি খুইয়ে অন্যের কপি হয়ে বেঁচে থাকা। আর একটি করোলারি হল নিজের ভাল দিক ঠিক যে কোনটা সেটা না বুঝে অন্য দিক বেছে নেওয়া- নিজের অনুন্নত অতীতের নকল হয়ে যাওয়া। বর্তমানেই উজ্জ্বল ভারতের অতীতবিলাস তেমনই একটি উপসর্গ।

        Reply
  • September 28, 2023 at 9:36 pm
    Permalink

    বিবেকানন্দের প্রাসঙ্গিক কথা হলো সত্যিই ভাবায়। আমাদের জীবনে সামঞ্জস্য ই শান্তির আধার। স্বামীজীর লেখায় যা Three- H balance বলে উল্লিখিত হয়েছে।

    সুন্দর বিশ্লেষণ । যথারীতি মনোগ্রাহী প্রবন্ধ।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *