Arijit Kathanchit, by Arijit Choudhuri

ভুলে যে যাই, বেদনা নাই- বাইশে শ্রাবণে বিশ্বভারতী 

প্রমথ বিশী’র ‘রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন’ পড়তে পড়তে অবাক হতে হতে এই বছরের বাইশে শ্রাবণ এসে গেল। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর অস্তিত্বের একটি প্রধান অঙ্গ পড়াশোনা হ’লেও তার ঔৎকর্ষ রবীন্দ্রনাথের সময়ে কোন্‌   উচ্চতায় পৌঁছেছিল তার আভাস পাওয়া যায় স্মৃতিচারণমূলক এই বইটিতে। 

আধুনিক কালে ভারতের বাইরের উন্নত দেশগুলোতে মেধার বৃত্তে ভারতীয়দের উপস্থিতি উজ্জ্বল। অনেক সময় দেশীয় পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া তথাকথিত মধ্য মেধার মানুষ বিদেশে যাবার পর যুগপৎ আর্থিক ও পারমার্থিক (জ্ঞান-জগৎ) পরিমণ্ডলে তাঁদের উত্থান দেখে মনে হয়, আমরা এঁদের বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ (ইকোসিস্টেম) দিতে পারি নি বলেই তাঁদের চলে যেতে হয়। অনেকে ব্যাপারটা টাকার সাথে জুড়ে সরল করে নেন। কিন্তু, ‘চলে যাওয়া’ আর ‘যেতে চাওয়া’ অনেকের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়-এর সূত্রে জানি বিষয়টা এত সহজ নয়। অপ্রিয় সত্যি কথাটা হ’ল, ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়পড়তার চারণভূমি হলেও ঔৎকর্ষের বধ্যভুমি। 

অনেক দিন আগে চেন্নাই-এর এক ডাক্তারের কাছে আমেরিকায় তাঁর বোনঝি একই সাথে দু’তিনটে ক্লাসে পড়ে শুনে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। উনি বলছিলেন, কোন একটি বিষয়ে মেয়েটি অতি ভাল বলে, নিজেদের গাড়ী দিয়ে তার স্কুল অন্য জায়গায় ক্লাস করতে পাঠায়। মনে হয়েছিল, ‘এমন কেন এ দেশে হয় না আহা!’ স্কুল কলেজে পড়াশোনায় এগিয়ে থাকা অনেককেই দেখেছি, শুধুমাত্র উপস্থিতির জন্য গড়পড়তার সাথে বসে ক্লাস করা যাদের সময়ের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। তখন জানতাম না, এখন দেখছি প্রায় এক শতক আগে রবীন্দ্রনাথ একই ছাত্রের নানা বিষয়ে কুশলতা ও মেধার বিচার করে তাদের বিভিন্ন ক্লাসে পড়বার ব্যবস্থা করতেন। কে কোন্ বিষয়ে ভাল সেটি বোঝা আর তাকে সেই দিকে এগিয়ে দেওয়ার উদ্যম ও ক্ষমতা ছিল তাঁর।

এ ব্যাপারে বিশীবাবু লিখেছেন- একবার উত্তর দিতে না পেরে তিনি অঙ্ক পরীক্ষার খাতায় লেখেন, 

“হে হরি হে দয়াময়

কিছু মার্ক দিয়ো আমায়।

তোমার শরণাগত 

নহি সতত

শুধু এই পরীক্ষার সময়।”

এই ব্লাসফেমি’র জন্য কঠিন শাস্তির আবেদন কবির কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, ‘কবিতাটি মন্দ লেখে নি। ওকে অঙ্ক কষাতে চেষ্টা করো, তা বলে কবিতা লেখায় বাধা দিয়ো না।’ পরিবেশ এ রকম হ’লে যার গান লেখার কথা সে ডাক্তার হতে দৌড়োয় না। বেলফুল রজনীগন্ধা, বা করবী গোলাপ হবার চেষ্টায় জীবনপাত করে না। আঙ্গিনা নানা ফুলের শোভা আর সুবাসে আলোকিত, পুলকিত হয়ে ওঠে। 

মেধা-পরিচর্যার পরিবেশ ছিল বলেই  স্বাধীনতা-উত্তর আধুনিক ভারত থেকে মেধাবীরা যে সব দেশে চলে যায়, পরাধীন ভারতের বিশ্বভারতীতে সে সব জায়গা থেকেই বহু জ্ঞানী-গুণী পড়াতে ও পড়তে আসতেন। মনীষার লালন-পালনে শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের সময়ে যে বিশ্বময় অনুকরণীয় উদাহরণ তুলে ধরেছিল, তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি অধুনা ভারতের গর্বের পীঠস্থান আইআইটি-গুলিও। বঙ্গভাষীদের মধ্যে মুজতবা আলী, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশী, ইন্দিরা গান্ধী, অমর্ত্য সেন, শান্তিদেব ঘোষ, মহাশ্বেতা দেবী, সুচিত্রা মিত্র, রামকিঙ্কর বেইজ, সাগরময় ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, অদিতি মহসিন;  বহির্বঙ্গের ইন্দিরা গান্ধী, মৃণালিনী সারাভাই, নবকান্ত বড়ুয়া (সাহিত্যিক), দীননাথ ভার্গব (শিল্পী)  শ্রীরাজ গোপীনাথন (শিল্পী), কে জি সুব্রমনিয়ন (শিল্পী) আর বিদেশের, আরিয়ানা হাফিংটন (গ্রীক-আমেরিকান সাংবাদিক ও উদ্যোগপতি), জান ইউন হুয়া, তান চুং (দুজনই চীনা গবেষক ও লেখক), ভুবন ঢুঙ্গানা (নেপালী লেখক), আনন্দ সমারাকুন (শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা লেখক), জুসেপ্পে তুচ্চি (ইতালীয়ান গবেষক ও বহুভাষাবিদ) ইত্যাদি সহ এখানে লেখার দৈর্ঘ্য সীমায়িত রাখার জন্য যাঁদের নাম করা গেল না- সেই সব উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কদের উত্থান প্রতিষ্ঠানটির বহুমুখী ঔজ্জ্বল্যের সাক্ষ্য বহন করে। 

আমাদের চেনাশোনা বিজ্ঞানের ভাল ছাত্রদের কাউকেই শান্তিনিকেতনে পড়ার বাসনা পোষণ করতে দেখি নি। বিশ্ববিদ্যালয়টি যে মূলতঃ কলাবিভাগের জন্যই, ওখানকার বাতাসে গান, কবিতা আর কল্পনার সাথে মাখামাখি বিজ্ঞানের বাস্তবতার প্রতি বিদ্বেষ- এই ধারণায় প্রথম ঘা লাগে ওখান থেকে পাস করা এক চিন্তাশীল উৎকৃষ্ট পদার্থবিদকে ওএনজিসি’তে সহকর্মী হিসেবে কাছ থেকে দেখে। এখন জানলাম, রবীন্দ্রনাথ বিশীবাবুকে রসায়ন ও আবহবিদ্যা পড়িয়েছিলেন। শান্তিনিকেতন থেকেই উঠে এসেছেন প্রখ্যাত মলিকিউলার বায়োলজিস্ট প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, মনোজ মাজি, বায়োইনফরমেটিক্স এর চিত্রা দত্ত ও নিউরোবায়োলজিস্ট অনির্বাণ বসুর মত মানুষ। 

ভারতের এখনকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নামে ‘বিশ্ব’ শব্দটি অতিকথনের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। বিদেশী ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে ঐ উচ্চ ও গম্ভীর আখ্যা যেন কিছুটা ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’-এর গা-জোয়ারি। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নানা রাজ্যের ছাত্র-শিক্ষক থাকায় তবু কিছুটা লজ্জা এড়ানো যায়। রাজ্যের ‘বিশ্ব’বিদ্যালয়গুলি   নিজস্ব প্রদেশের বেড়া’ই পেরোতে পারে না। ‘এ নামহার আমায় নাহি সাজে’ তাদের গোষ্ঠীগীতি। 

ভারতীয় ও বিশ্বনাগরিক সত্তার মধ্যে দ্বন্দ্ববিহীন একটি অবস্থান বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা খুঁজে পেয়েছিলেন । পূর্ণেন্দু পত্রী সেই চেতনাকে ধরেছেন তাঁর অনবদ্য ভাষায়- 

“স্বদেশকে চোখের দৃষ্টি করে রাখার জাতীয়তাবাদ- রবি ঠাকুরের; 

বিদেশকে চোখের সামনে দৃষ্টান্ত করে রাখার আন্তর্জাতিকতা- রবি ঠাকুরের।” 

আমরা প্রায়ই ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে গিয়ে বিদেশের অর্জনকে ছোট করার লোভ সামলাতে পারি না। 

“সব ঠাঁই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর ফিরি খুঁজিয়া।

দেশে দেশে মোর দেশ আছে, আমি সেই দেশ লব যুঝিয়া।” 

এটি যিনি লিখেছেন সে কবির সেরকম শুচিবায়ু ছিল না। তাই শান্তিনিকেতনকে ‘আশ্রম’ আখ্যা দিয়ে, সেখানে প্রাচীন ভারতীয় গুরুকুল-এর ধাঁচে গাছতলায় ক্লাস বসিয়ে, দেশীয় সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ভাল বাংলা আর সংস্কৃত শিক্ষার (চীনা, জাপানীও ছিল) পাশাপাশি তখনকার (এবং এখনকার) আধুনিক জ্ঞানজগতের প্রবেশদ্বার ইংরাজী পড়াতে কুণ্ঠাবোধ করেন নি। ছাত্রদের দেশের মাটি আর প্রকৃতির কাছাকাছি রাখার উদ্দেশ্যে তিনি ঋতুরঙ্গ, হলকর্ষণ, শ্রীপঞ্চমী ইত্যাদি একান্ত ভারতীয় উৎসব উদ্‌যাপন করেছেন আবার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও বন্ধুপুত্র সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে উন্নত কৃষিব্যবস্থা শিখতে আমেরিকা পাঠিয়েছেন। 

আশ্রম, উপাসনা– এ কথাগুলো শুনলেই গোঁড়া হিন্দুত্ব’র কথা মনে হয়। বিশ্বভারতীর উদার পরিমণ্ডলে গোঁড়ামি ছিল অনুপস্থিত। তাই নানা মত, ধর্ম ও জাতির মানুষের সেখানে একসাথে মিত্রভাবে থাকতে অসুবিধে হয় নি, অসুবিধে হয় নি কপিলেশ্বর মিশ্রের ক্লাসে ষাট থেকে ষোল বছরের ছাত্র-অধ্যাপকের এক সাথে বসে পাণিনির ব্যাকরণ শিখতে অথবা সি এফ এন্ড্রুজ বা ডব্লু ডব্লু পিয়ারসনের স্বেচ্ছায় ধুতি-পাঞ্জাবি-চাদরকে প্রধান পোষাক হিসেবে বরণ করতে।

আধুনিক ভারতে বিমানযাত্রার সুবিধাসহ যানবাহনের অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও উত্তরপূর্ব ভারত সহ বেশ  কিছু জায়গায় যোগ্য অধ্যাপকরা যেতে চান না। ওদিকে প্রায় শতাব্দীপূর্বের বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের মধ্যে দেশ ও বিদেশের অগুন্তি পণ্ডিত, লেখক ও দার্শনিকের ভিড়। সেখানকার শিক্ষক তালিকায় চেনা জার্মানি, ফ্রান্স, চীন, জাপান, আমেরিকার পণ্ডিতদের পাশাপাশি অস্ট্রিয়ান চেক ও হাঙ্গারিয়ান অধ্যপকদের নামও দেখতে পাচ্ছি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মোটা মাইনের চাকরি আর স্বভূমির মায়া ছেড়ে এসেছেন, আর কেউ কেউ (চাঁদপুরের কালীমোহন ঘোষ, এলাহাবাদের নেপালচন্দ্র রায় ইত্যাদি)  স্বদেশী করতে গিয়ে ব্রিটিশের কোপে পড়ে শান্তিনিকেতনে চলে আসেন। সেকালে বিদেশ থেকে আসা মানে দীর্ঘ কষ্টকর সমুদ্রযাত্রা, তারপর কলকাতা থেকে প্রায় দু’শ কিমি দূরে বীরভূমের ঊষর জমি। সেখানে পৌঁছে বহু বিদেশীর স্থায়ী বসবাসের কথা জেনে সংগঠক কবি সেখানে ‘কি ছায়া, কি মায়া’ সৃষ্টি করেছিলেন ভেবে অবাক হই। “রবীন্দ্রনাথের খ্যাতি-প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে আশ্রমের প্রতিষ্ঠা বাড়িয়াছে;… দূরদেশ হইতে ছাত্রছাত্রী আসিতেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা হইতে একবার দুটি ছাত্র আসিল। ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের ছাত্র অবিরল হইয়া উঠিল। গুজরাটি ছাত্রদের সংখ্যা এক সময়ে বাড়িতে বাড়িতে প্রায় পঞ্চাশের কাছে গিয়া ঠেকিল। মুসলমান ছাত্র আগেও ছিল, এখন আবার বাড়িল। তাহাদের পোশাকে ও আচরণে হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে প্রভেদ বোঝা যাইত না; সকলেরই একসঙ্গে বাস ও আহার।* বাংলাদেশের বাহির হইতে অধ্যাপক আসিতে লাগিলেন।“ (প্রমথনাথ বিশী)

বিশ্বভারতীতে প্রথম চার দশক কোন ছাত্র ধর্মঘট হয় নি। রবীন্দ্রনাথ ছাত্রদের শৃঙ্খলা রক্ষার ভার শিক্ষকদের হাত থেকে নিয়ে ছাত্রদের ওপরেই ন্যস্ত করেন। এই ব্যবস্থা এতটাই ফলপ্রসূ হয়েছিল যে এক সময় পরীক্ষায় নজরদারীও রাখা হ’ত না। ছাত্ররা নিজেরাই খাতা নিয়ে লিখে জমা দিয়ে যেত। শৃঙ্খলা কমিটি গুলি নির্বাচিত হত সমস্ত ছাত্রের সংস্থা আশ্রম সম্মিলনীর মধ্য থেকে এবং সেগুলি ছিল পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভার মত বহুস্তরীয়। তার মধ্যেও নীতি নির্ধারণ ও কার্যনির্বাহন-এর ব্যবস্থা ছিল পৃথক। অমাবস্যায় তাদের কর্মসভা আর পূর্ণিমায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সভা বসত। ইংরাজীতে ‘ব্রেকিং দ্য প্যরাডাইম’ বলে একটি কথা আছে যার মানে হ’ল বাঁধা গতের বাইরে যাওয়া। তখনকার আমলের সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) সংস্থা বিশ্বভারতীতে ওপরের ব্যবস্থাগুলির মত অনেক ‘বাঁধা গতের বাইরে’-র এক্সপেরিমেন্ট হয়েছিল, যেমন – “শান্তিনিকেতনে শিশুদের একান্তভাবে শিশু মনে করা হয় না। এখানকার নিম্নতম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যতালিকা লক্ষ্য করিলে বিস্ময়ের অবধি থাকিবে না। এই-সব বই কলেজের উচ্চতম শ্রেণীতে দিতেও অনেকে সংকোচ বোধ করিবেন।” এটির ফল  ঠিক কি হয়েছিল তা অগোচর কিন্তু গান্ধীজীর আগমনের পরেই তাঁর প্রভাবে ‘নিজের কাজ নিজে করো’ মডেলে হোস্টেলবাসী ছাত্রদের রান্না করা, ঝাড়পোঁছ, বাসন মাজায় পড়াশোনার ব্যাঘাত খুব বেশী হওয়ায় সেটি ত্যাগ করতে হয়।  

দুঃখ হয় এখন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থা দেখে । ভারতীয় ঐতিহ্যের ধারায় শিশুশ্রেণী থেকে উচ্চতম স্তর পর্যন্ত বিশ্বজনীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষা নিয়ে নানান স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিচালনার প্রায় সমস্ত দিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীতে করে দেখিয়ে গিয়েছেন। তিনি নাটক, গল্প, প্রবন্ধ, গান লিখেই ক্ষান্ত হলে বলা যেত উনি অবাস্তবের কবি, কিন্তু চাষ করে, জমিদারি চালিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা ইত্যাদি সর্বব্যাপী দৃষ্টান্ত দিয়ে এমন অসহায় করে গেছেন যে কোন কিছু ‘পারি না’ বলতে কুন্ঠা হয়। 

কথায় বলে, একটি ভাল উদাহরণ হাজার শব্দের চেয়ে বেশী বাঙ্‌ময়। নালন্দা, তক্ষশীলার জ্ঞানকেন্দ্র প্রাচীন, তাদের ভুলে যাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক। বাইশে শ্রাবণ প্রতি বছর প্রশ্ন করে, স্থান ও কালের বিচারে অনেক কাছের বিশ্বভারতীর উদাহরণ আমরা ভুললাম কি করে? 

                                                                                  -অরিজিৎ চৌধুরী

 

তথ্যসূত্র

রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন- প্রমথনাথ বিশী, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ (অধিকাংশ উদ্ধৃতি এই বই থেকে)

Notable people associated with Santiniketan – Wikipedia

 

About the author

Arijit Choudhuri, located in Navi Mumbai, petroleum geologist by profession. Also interested in issues concerning pollution, climate change and fast depleting groundwater reserves.Travelling, reading, writing articles, composing rhymes and recitation are his hobbies.

Arijit Kathanchit, by Arijit Choudhuri

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *