Marriage— Life’s fulfillment or Impediment   – By Nandita Som, Age 70+, HouseMaker

শিশুকালে ” বিয়ে ” বা বিবাহ সম্বন্ধে ধারণাটি খুব মধুর ছিল। কারণ বিয়ে বা বিয়ে বাড়ির অর্থই ছিল প্রচুর আলো , সাজসজ্জা, খাওয়া আর আনন্দ। বর বিয়ে করতে আসার সময় যাদের সাথে আনে তারা বরযাত্রী। তাতে সামিল হতে পারাটা বেশ গর্বের ছিল। আর কন্যার পক্ষে হলে সানাইয়ের শব্দ, সাজগোজ, নানাবিধ খাওয়াদাওয়া, ছোটাছুটি—আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। এটুকু জানতাম –পুরোহিত এসে কিসব মন্ত্র পড়ে বলবেন বিয়ে সমাপ্ত।
বড়ো হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে শুরু করলাম— যত সহজ “বিয়ে বা বিবাহ” শব্দটি উচ্চারণ করা ততো সহজ নয় জীবনের চলার পথে। ক্লাস সেভেনে সংস্কৃত দিদিমণি বুঝিয়ে ছিলেন বিবাহের অর্থ। “বি”শেষ রূপে বহন করার অর্থ হচ্ছে বিবাহ। বিবাহের পূর্ণ অর্থ হচ্ছে–একটি সামাজিক পবিত্র বন্ধন যার মাধ্যমে দুটি মানুষের মাঝে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কতটুকু বুঝেছিলাম জানিনা। কিন্তু জীবনের চলার পথে বিবাহের প্রকৃত অর্থ বোঝার চেষ্টা করে চলেছি।
আমার বোধে বিবাহ দুই ভাবে হয়। প্রথম বলা যায় নারী ও পুরুষ নিজেদের পছন্দমতো জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়। আর দ্বিতীয়টি পারিবারিক আত্মীয়স্বজন, গুরুজনেরা খুঁজে দেন। কোনটাতেই অসুবিধা নেই। আমাদের জীবনের প্রতিটি জিনিসের মধ্যেই আছে অনুকূল ও প্রতিকূল, ভালো/ মন্দ, পরিপূর্ণতা/অপরিপূর্ণতা। বিবাহ কখনো হয় সফল– আবার কখনো অসফল। আজ আমার আলোচ্য বিষয় “বিবাহের পরিপূর্ণতা বনাম অপরিপূর্ণতা।
প্রায়ই একটা কথা শোনা যায় ” সমানে সমানে বিয়ে হওয়া প্রয়োজন”। মেনে যদি নিই– সামাজিক, আর্থিক সমানে হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু মানসিকতা কিভাবে সমানে সমানে হবে? আমরা সবাই এক ছাঁচে গড়া মানুষ নই। বিভিন্ন পরিবেশে, বিভিন্ন  চিন্তাধারায় আমরা বড়ো হই।  নারী, পুরুষ বিয়ের আগে যদি তারা পরস্পরকে না চেনে বা জানে তাহলে পরস্পরের মানসিকতা সম্পর্কে তারা জানবে কী করে?
একটি বাড়ি বানাতে গেলে আগে তার ভিত স্থাপন করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দেন। প্রথম ইঁট যদি মাটির অবস্থা অনুযায়ী স্থাপন করা হয়– তবে সেই বাড়িটিও শক্তপোক্ত হয়। ঠিক সেইরকম বিবাহিত দম্পতির সংসারের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। আমরা যদি একে অপরের দোষ/গুণ মানিয়ে নিয়ে চলি– তবে দেখবো জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ভালোবাসা তখনই জীবনে আসবে যখন আমরা একে অপরকে সম্মান ও বিশ্বাস করে তাকে এবং তার পরিবারকে কাছে টেনে নেবো। তাদেরকে নিজের বলে ভাবতে শুরু করবো। তাদের সুবিধা অসুবিধা নিজের মনে করে সমাধান করবো। বিবাহের পরিপূর্ণতা কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে।
আর একটি প্রধান জিনিস হলো ধৈর্য্য। অধৈর্য্য কখনো কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আজকাল প্রায়ই বিবাহবিচ্ছেদের কথা শোনা যায়। একে আমরা বিবাহের অপরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে রাখতে পারি। আমার নিজস্ব ধারণা– বর্তমান প্রজন্মের সহনশীলতা অনেক কম। সবসময় যদি অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াই সেটা কী ঠিক ? আজকের নারীরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী। পরমুখাপেক্ষি তারা নয়। তাই শ্বশুর, শাশুড়ি বা স্বামীর নির্দেশ সবসময় মেনে চলা সম্ভব নয়। আগের দিনে কন্যা বিদায়ের সময় মা বলে দিতেন ” শ্বশুর বাড়িতে মানিয়ে চলিস “। কন্যারাও চেষ্টা করতো অক্ষরে অক্ষরে মানতে। এটা তো দুপক্ষেরই মেনে চলার কথা। সেটা আগের প্রজন্ম মনে না রাখলেও  বর্তমান প্রজন্ম কেন মনে রাখবে বা মেনে চলবে? স্বামী স্ত্রীর সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে ফেলা সর্বসময় সঠিক।
সব মানা না মানা এবং নিজের অহম বোধকে দূরে সরিয়ে একটু চেষ্টা করা যায় না কী  বিবাহ সফল করে তার পরিপূর্ণতা আনতে। একটি বিবাহের পরিপূর্ণতা সবাইকে সুখী করে। অপরিপূর্ণতা, অসফল বিবাহ নিয়ে আসে দুঃখ, বেদনা। সবথেকে অসহায় ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে সেইসব সন্তানেরা যাদের মা বাবার বিবাহিত জীবন সফল পরিণতি না পেয়ে অপরিপূর্ণতায় ভরে গেল। কোনোভাবেই তা’ কাম্য নয়। তাই বিবাহের পরিপূর্ণতাকেই স্বাগত জানাই।
ওপরের লেখাগুলি সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত।
ভিন্ন মত থাকতেই পারে।
#নন্দিতা সোম

Marriage— Life’s fulfillment or Impediment   – By Nandita Som, Age 70+, HouseMaker

One thought on “Marriage— Life’s fulfillment or Impediment   – By Nandita Som, Age 70+, HouseMaker

  • January 14, 2024 at 10:21 am
    Permalink

    সঠিক বক্তব্য, ভালো লাগলো পড়ে।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *