Scent of a story – by basudeb Gupta

অণুসন্ধান ১০
ছায়াবাজী।

৫ই জুন। ঠিক সকাল ১১৩৪। সত্যব্রতবাবু ভূত হয়ে গেলেন।

এফেক্টের জন্য লিখলাম। ব্যাপারটা অত ভয় পাবার কিছু নয়। ঐ মুহূর্তটি ছিল ছায়াহীন মুহূর্ত। সূর্য তখন আসবে ঠিক মাথার ওপর। ঠিক মাথার ওপর। একটুও এদিক ওদিক নয়। তখন কোথাও কারো ছায়া মাটিতে পড়বে না। কদিন ধরে এই নিয়ে হোয়ায় হৈচৈ।

পাড়ার ছেলেরা চাকরি বাকরি না পেলে নানা হুজ্জুতিতে মাতে। তাদের খেয়াল হলো সেই ছায়াহীনতার ভিডিও করবে। দুজন দুদিক থেকে ফোন নিয়ে রেডি। সময় প্রায় হয়ে এসেছে। ১১৩০। ফোনে এলার্ম বাজল।

সত্যব্রতবাবুএকটু কিউরিয়াস টাইপের মানুষ। রবিবারের সকালের ঝকঝকে রোদে একটা তাজা সবুজ লাউ কিনে বাড়ী ফিরছিলেন। লাউএর গায়ে হাল্কা রোঁয়া। বড়ি দিয়ে রাঁধবেন। দুদিন চলে যাবে ।

সেইসময় ঝিপ্পু আর লিটন ওনাকে দেখেই দৌড়ে এল।
-কাকু আমরা একটা সায়েন্সের টিকটক করব। আপনি হবেন মডেল। একটু এই গোল ঘেরার মধ্যে দাঁড়ান তো।
না বলার অপশান নেই।

ওনাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতে আর সায়েন্স শুনে অবশ্য ওনার খুব আনন্দ হল। তোলাবাজি পোকার বাজি তাস খেলা ছেড়ে যুবকরা এসব করছে দেখে এক কথায় রাজী হয়ে গেলেন। একটা লম্বা চুল ছোকরা পাড়ার নাটকে মেকআপ দেয়। সে এসে ওনাকে চটপট একটু ফেসবুক পাউডার দিয়ে সেট করে দিল। হাতে লাউটা উঁচু করে ধরলেন গোষ্ঠ পাল ফ্রি কিক করবে সেই পোজে। চশমাটা সেঁটে নিলেন নাকের ওপর। টাকের দুপাশে চুলগুলো সরিয়ে দাঁড়াতে কানে এল রেডি। একবার পায়ের দিকে তাকালেন। ছায়া আছে। ওনার ভুঁড়ি আর লাউ দুটো গোলকের ছায়া। যেন পৃথিবী আর সূর্য। ক্যামেরা চালু হয়ে গেল।

১১৩১ ৩২ ৩৩। তিনফুট লম্বা ছায়াটা ছোট হতে লাগল। ফুটবলটা ছোট টেনিস বলের আকার নিল। ওনার ছায়াটা ছোট হয়ে হল এক ফুট। ১১৩৪। কে যেন হুইসল বাজিয়ে দিলো। অদ্ভুত কান্ড। ছায়া নেই। ছায়া মুছে গেছে। সত্যব্রত বাবু ঝিপ্পু লিটন সবাই ছায়াহীন। দুজন সফটওয়ার ইন্জিনীয়ার গড় গড় করে ট্রলি ব্যাগ টানতে টানতে গেল। তাদের সামনে পেছনে কোথাও এক ফোনটা ছায়া নেই। ঠিক আমাদের দেশের মানুষের জীবনের মত। নিষ্করুণ রোদ গিলে ফেলেছে সবার অবয়ব।

কেউ নড়ছে না। সবাই নিজের ছায়াহীনতা উপভোগ করছে তাকিয়ে তাকিয়ে। এক মিনিট দু মিনিট। চারদিক চুপ। তারপর একটা হট্টগোল উঠল চার দিকে হো হো করে। এই ছায়া ফিরছে। হা নীলান্জন ছায়া। কে যেন বলে ওঠে, ছায়া কি তোর ডেট নাকি যে এত খিল্লি? আর একজন যোগ দেয় ছায়া তো রোদ্দুরের জি এফ। তুই কি করে জানলি। একি সেই রোদ্দুর নাকি? বলে আবার সবাই হো হো করে ওঠে। ছায়া ফিরেছে।

সত্যব্রতবাবুর মনে হয় অন্য কোন গ্রহ থেকে ঐ শব্দগুলো ভেসে আসছে। যেখানে রোদ বৃষ্টি ছায়া আহ্ণিক গতি এসব আছে। কই তাঁর ছায়া তো ফিরল না। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। তারপর টপটপ করে পড়তে থাকে। সত্যব্রত এক পা সামনে হাঁটেন। এক পা পিছনে যান। না। ছায়া পড়ছে না। আতংকে বিসফারিত হয় তাঁর চোখ। কোন মতে হাত নেড়ে ডাকেন মেকআপ ম্যান কে। মুখ দিয়ে অস্ফুট আর্তনাদ বেরোয়
-আমার ছায়া। তোমরা দেখতে পাচ্ছ? কোথায় আমার ছায়া।
সবাই দৌড়ে এসে একটু দূরে দাঁড়িয়ে যায়। তাদেরও চোখ কপালে। কোথায় গেল ওনার ছায়া ? ওরাই তো ওঁকে দাঁড়াতে বলেছিল। এখন উনি ছায়া ফেরত চাইলে কি করে সে দায় মেটাবে?
মেকআপম্যান একবার ভাবে একটা সুন্দর ছায়া এঁকে দিলে হয় না। তারপর ব্যাপারটা অসম্ভব বুঝে চুপ করে যায়।

-কি অভিযোগ?
-ছায়া চুরি। আমার ছায়া চুরি হয়ে গেছে।
-ধুর শালা। পাগল নাকি। পুলিশ স্যারেরা ভাষার ব্যাপারে চিরকালই একটু উদারপন্থী।
-দেখুন আমি একজন ভদ্রলোক। স্কুলের অংকের টিচার। পাগল নই।
-বাঃ ছায়া চুরির অভিযোগ করছেন। প্রমাণ আছে? নাকি পকেটে লুকিয়ে রেখেছেন?
বাইরে বেরিয়ে ওনাকে নানা রকম ঘুরিয়ে বসিয়ে যখন ছায়া বার করতে পারেন না এ এস আই, এবং তাঁর নিজের ছায়া দিব্যি পেছন পেছন হাঁটে, পা জড়িয়ে ধরে, তখন পুলিশ সাহেব ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য হন। কিন্তু চুরি করল কে?
-আপনার কাউকে সন্দেহ হয়? যখন চুরি হল তখন কোন অচেনা লোক সেখান দিয়ে –
– না ঐ সূর্য়
– সূর্য কে? আমাদের খাতায় তিনটে সূর্য আছে। গোঁফ ছিলো?
– দূর মশাই। সূর্য মানে দি সান। আকাশে রোজ আসে। লাইট দেয় আমাদের। বোঝানো গেল?
এ এস আই সাহেব চোখ কুঁচকে তাকান, লাঠিতে পুলিশি স্টাইলে হাত ঠোকেন তারপর সত্যব্রতবাবুর কাছে এসে আস্তে আস্তে বলেন,
-বার করুন। বার করে ফেলুন।
-মানে? সত্যব্রত ছায়ার শোকে এমনিই কাতর। এই কথা শুনে থতমত হয়ে তাকান
-আপনার ছায়া আপনিই চুরি করে অন্যের নামে দোষ চাপাচ্ছেন। ওসব চালাকি আমরা বুঝি না। পুলিশের গলার টিম্বার পাল্টায়। এক ধমক দিয়ে ওঠেন,
-চালাকি? নিশ্চয় ছায়াটা ইনশিওর করা ছিলো! এফ আই আর করে এবার টাকা তুলবেন। বাঃ বেশ। অংকের স্যারের মাথায় এসব শশাংক কেন দাদা? বার করুন।
ছায়ার ইনসিওর হয় এটা জানা ছিলো না বলে মনে মনে আক্ষেপ হয়। ওনার এলআইসির টাকা যে বিচ্ছুবাবু প্রতি কোয়ার্টারে নিয়ে যান তিনিও বলেন নি। অদ্ভুত সব শয়তান। কিন্তু এখন এই পুলিশকে কি বোঝাবেন।
-চুরি তো হয়েছে। অনেক সাক্ষী আছে। আপনি লিটন ঝিপ্পু ওদের ডাকুন।
পাড়ার জ্যোতিষ্কদের সাহায্য শেষ পর্যন্ত সত্যবাবু থানা থেকে ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি করে বেরোন। ওঁকেই হাজতে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল শা- জিভ কাটেন। প্রাকৃত শব্দ তাঁকে মানায় না। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে কেমন ন্যাড়া ন্যাড়া লাগে ছায়া ছাড়া। ভীষণ অস্বস্তি। কোনমতে বাড়ী গিয়ে ছিটকিনি লাগিয়ে শুয়ে পড়ে আকাশ পাতাল। ভাবতে থাকেন। তারপর একসময় হু হু করে কেঁদে ফেলেন। আমাকে সবাই কেন ছেড়ে যায় এমনি করে। দেয়ালে মৃতা স্ত্রী নিরুত্তর। অবহেলিত লাউ গড়িয়ে আলমারির নীচে মুখ লুকোয়।

কিন্তু ছায়ার দেখা নাই। ছায়ার দেখা নেই রে।
কখন যে তাঁকে নিয়ে টকাটক ভাইরাল হয়েছে, নামকরা সুরকার শ্রী ছোলাভাজা ওনাকে নিয়ে প্যারডি লিখে এক মিলিয়ন হিট অত শত খবর সত্যবাবু জানেন না। এসব ঘটনা বিদ্যুৎ গতিতে হয়। সত্যবাবু বাড়ী থেকে তিনদিন পরে ভোর বেলা দুধ আর পাঁউরুটি কিনে কোনমতে বাড়ী ঢুকবেন রাস্তায় মূর্তিমান টাপুর সংগে দেখা। দেখেই তার কি ফূরতি। গান জুড়ে দেয়। ছায়ার দেখা নাই…। কটমট করে তার দিকে তাকাতে সে বলে ওঠে,
-কি রকম এসক্যাম হয়ে গেলেন কাকু? হেভি গানটা। ছায়ার দেখা নাই ।
বলে ফার্মিজির বিখ্যাত এডের স্টাইলে নাচ জুড়ে দেয়।
কোনমতে ঘরে ঢুকে চোখ ভরে আসে কান্না। কি দোষ আমি করলাম যে আর কারও নয় আমার ছায়াটাই চুরি হল। কিছুতেই এই সমীকরণ সমাধান করতে পারেন না। এই স্টেজকে বলে ডিনায়াল।

আস্তে আস্তে ফেসবুকে খবর আসতে থাকে উনি একা নন। ভেনিজুয়েলা থেকে মালয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড থেকে আমেরিকা সব দেশেই অনেক লোকের ছায়া চুরি গেছে। একই ভাবে। কেবল উজবেকিস্তানে একজন ভীষণ মোটা ব্যক্তির পুরো ছায়াটা চুরি করতে পারে নি। হাফ ফেলে গেছে। ফলে তার ছায়াটা শুধু অর্ধেক হয়ে গেছে সেদিন থেকে।

ফেসবুক আর হোয়াতে একটা গ্রুপ তৈরী হল। men without shadows বা ছায়াহীনের দল । সেখানে ২৩৪ জন সভ্য সভ্যা আমাদের দেশেই। সবাই নানা রকম পোজে ছবি পোস্ট করছে। ছবিগুলোর বিশেষত্ব তাদের কোন ছায়া নেই। যার ছবি যত ভালো ছায়াহীন তার নামে তত লাইক।

এইভাবে ছায়াহীনরা বুঝতে পারল ছায়া নেই বলে লজ্জার কিছু নেই। তারাও সব মানুষের মত। শুধু ছায়ার ব্যাপারটা আলাদা। কারো গোঁফ নেই, কারো ছটা আন্গুল, কারো কান কুলোর মত। তারা কি লজ্জা পায়? ফলে তারা এক এক করে কামিং আউট করতে লাগল। বাড়ী থেকে বেরিয়ে গটগট হেঁটে সত্যবাবুও একদিন বেরোলেন লাউ কিনতে। উত্তেজনায় পালস বেড়ে হল ১২০। প্রেসার ১৬০ ১০০। পাখার নীচে বসে যখন স্বাভাবিক হলেন তখন খেয়াল হল কোন মানুষ তাঁক দেখে হাসেও নি, কোন বিদ্রূপও করে নি। আসলে কেউ ব্যাপারটা খেয়ালই করে নি। এতে একটু মন খারাপ লাগলো। তাঁর এত বড় ক্ষতি কেউ পাত্তাই দিল না?

মনের দুঃখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এমন সময় তারস্বরে সকলি তোমারই ইচ্ছা বেজে উঠল । রিংটোন। ঘুমচোখে তড়বড় করে উঠতে গিয়ে খাটের বাজুতে গোঁত্তা খেলেন। ফোনটা ধরে অপরপ্রান্তের গলা শুনে একটা বিরক্তি গলায় চলে এল চোঁয়া ঢেঁকুর হয়ে। পুলিশ এ এস আই।
-এই যে শশাংক স্যার কি করছিলেন বীজগণিত না জ্যামিতি?
-আমার নাম সত্যব্রত। আমি অংকের স্যার। ছাত্র নই। অংক করতে হয় না আর। বলুন ।
-বাহ ছায়া চুরি গেছে তাও গলার জোর যায় নি। থানায় আসুন। এক্ষুনি।
-এক্ষুনি?
-বাইরে দেখুন গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে। সোজা উঠে পড়ুন।
অগত্যা। এই শব্দটা এসব পরিস্থিতিতে লাগসই।

দুজন ছায়াচোর ধরা পড়েছে। আইডেন্টিফাই করতে হবে। তাদের কাছে বড় থলির মধ্যে বেশ কিছু ছায়া আছে বলে মনে হয়েছে পুলিশের। অথচ ওরা বেমালুম অস্বীকার করে বলছে দেখুন বস্তা খুলে ছায়া কোথায়।
ছায়া এমনি দেখা যায় না। রংটা কালো। বস্তাগুলোর ভিতরটাও কালো। অনেক ছায়া জড়ামড়ি করে শুয়ে আছে। নৈলে খালি বস্তা নিয়ে রাস্তা দিয়ে কোনই বা যাবে? স্মৃতিজাগরণ ফিজিওথেরাপি করেও ব্যাটারা স্বীকার করে নি এতই ঘাঘু। অগত্যা।
-হ্যাঁ অগত্যা শশাংক স্যার আপনি যদি বস্তার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে নিজের ছায়াটা আইডেন্টিফাই করেন তাহলে ল্যাঠা চুকে যায় তাহলেই অল কিলিয়ার।
এ এস আই ওনাকে ধরে ব্যাগের পাশে নিয়ে যান।
-দেখুন আপনার ছায়া পান কিনা।
অত্যন্ত বেজার মুখ করে হাতটা থলের মধ্যে ধীরে ধীরে ঢোকান। ভিতরটা একটু ঠান্ডা। হাতে ত্রিকোণমিতির মত কিছু কৌণিক জিনিষ ফোটে।
তারপরেই ওরে বাবা রে বলে হাত বার করে ঊর্দ্ধশ্বাসে উনি ছুট লাগান। থলির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ভগবানের সবচেয়ে ভয়ংকর সৃষ্টি
ঝাঁকযঝাঁক উড়ুক্কু আরশোলা। তারা পুলিশের অন্তর্বাস চায়ের কাপ এক অভিযোগকারিণী টিভির মডেলের রোদচশমার সব দিকেই এক সংগে ধাবিত হয় রাশিয়ান ট্যাংক বাহিনীর মত।
-গেল রে গেল। এত কষ্ট করে জমানো আরশোলা সব উড়িয়ে দিল। আমার মার হাঁপানির ওষুধ দেবে বলেঁছিল চীনা ডাক্তার পং পিং।

সত্যব্রত ওরফে শশাংক তখন দিগ্বিদিক ভুলে ছুটতে ব্যস্ত। ছুটতে ছুটতে উনি পৌঁছে যান স্পটে। যেখানে তাঁর ছায়া চুরি হয়ে গিয়েছিল সেখানে একটা ১০ মিটার ব্যাসের গর্ত খোঁড়া। পুলিশে তদন্ত করেছে, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মাটি খুঁড়ে ও ছায়ার হদিশ পায় নি। সেখানে একটা হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন কোনমতে ঝিপ্পু এসে সামলে দেয়। উঠে দাঁড়িয়ে ধুলো ঝাড়ার ঝাড়তে হঠাৎ সত্যবাবুর চোখে পড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য।
লিটন আর ঝিপ্পুর ছায়াটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে।
পিছনে দৌড়ে আসা এ এস আই, হাবিলদার সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মত ফ্রিজ হয়ে দেখতে থাকে,
সকলের ছায়া আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে। সত্যব্রতর প্রেসারটা আবার বাড়তে থাকে। চারদিকে বাড়ীগুলো ভরে যায় সর্ষেক্ষেতে। জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রাস্তায়।

হঠাৎ কার ফোনে এলার্ম বেজে ওঠো। ১১টা ৪০। ৪১। প্রতিটি মানুষের ছায়া মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যায়।
ঠিক তখন লিটনের মনে পড়ে যায় কথাটা। আজ না ৭ই জুলাই। আজও তো ছায়াশূন্য দিন। ১১৪১ মিনিটে বছরের দ্বিতীয় ছায়াহীন মুহূর্ত। নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেখতে থাকে আবার ছায়া গুলো বড় হচ্ছে। আবার হো হো করে চেঁচিয়ে ওঠে যুবকের দল।
আর সবচেয়ে আশ্চর্য সত্যব্রতবাবুর শরীরের পাশে কালো একটা গন্ডী বড় হতে হতে ঠিক ওনার মাপসই একটা ছায়া তৈরী হয়ে যায়। সত্যব্রতে জ্ঞান ফিরে আসে। চোখে মুখে জল দিয়ে ওনাকে চায়ের দোকানে বসানো হয়। ছায়া হারিয়ে যাওয়ার কথা ওঁর কিচ্ছু মনে নেই। কেউ এ নিয়ে কোন প্রশ্নও তোলে না।

এএস আই কেস ক্লোজ করে এই লিখে-
-চোর মাল ফেরত দিয়ে গেছে। কিন্তু তাকে ধরা যায় নি। সন্দেহ করা হচ্ছে তার নাম সূর্য। পদবী জানা নেই। মাল পাওয়া গেছে বলে কেস ক্লোজ করে দেওয়া হল।

(সমাপ্ত)

 

About Author


বাসুদেব গুপ্ত। বয়স ৭০। অধুনা নিবাস সল্ট লেক কলিকাতা। পেশা কম্পিউটার সফটওয়ার ডিজাইন ও এক্সপোরট। নেশা বাংলা ইংরাজী কবিতা ও গল্প লেখা। দ্বিতীয় প্রেম কুকিং

Scent of a story – by basudeb Gupta

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *