বিয়ে আর প্রেম-১

বিয়ে আর প্রেম-১;

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ঐ বছর দেশের প্রায় ১,৭১০০০ জন

আত্মহত্যা করেছেন (প্রতি দিন প্রায় ৪৭০ জন)। প্রেমজনিত কারণে কতজন নিজেদের (অন্যদেরও) শেষ
করে দিয়েছেন তাাঁর হিসেব পাওয়া অসম্ভব, কারণ ভারতীয় সমাজে ঐ বিষয়টি নিন্দনীয়। আত্মহত্যা শুধুনয়,
প্রেমের কারণে হত্যার ঘটনাও ভূরি ভূরি।ক’দিন আগে কাগজে দেখলাম, বরানগরে একজন তার বন্ধুর স্ত্রীর প্রেমে পড ে তাকে বিয ে করে। এতে রেগে

গিয ে প্রাক্তন স্বামী বন্ধুবান্ধব জুটিয ে এখনকার স্বামীকে প্রায জানিয ে শুনিয ে খুন করেছে। এদের একটি
শিশুসন্তানও আছে। আপাতত: এই প্রেমবন্ধনের ফল হল, বেশ কিছুপরিবারের সামনে কালো পর্দা নেমে
আসা। কবি-সাহিত্যিকরা বলেন, প্রেম মানুষকে সংবেদনশীল করে। তবুতার নামে বিশ্বময় এত ষড়যন্ত্র আর
খুনোখুনি ঘটার কারণ বিষয়টি নিয়ে তীব্র অনুভুতি- নিজেকে বা অন্যকে ধ্বংস করে দেওয়ার অন্ধ আবেগ।
যার মধ্যে উাঁকি দেয় যেন বহুমাত্রিক জীবনকে একমাত্রিক করে দেখার প্রবণতা ।এ রকম অন্য ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে। যেমন, আমাদের হাউসিং সোসাইটিতে মেরামতির আলোচনায বসে দেখি

বেশির ভাগের আগ্রহ দেখনহাসির দিকে (রঙচঙ, ফেসলিফট) বাড িটা যে ভিতের ওপর দাাঁড িয ে তার কথা বললেন,
অনেকের মধ্যে একজন। মূল বিষয টি (প্রেমের ক্ষেত্রে বয়ঃপ্রাপ্তির হরমোন) এড িয ে ওপরদিকের
সাজগোজে ব্যস্ত হয ে পড বার প্রতিফল হ’ল, পথ হারিয ে হতবুদ্ধি হয়ে কল্পনায বিচরণ করা।গল্প জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেখানে প্রায়শঃ অন্য ছবি ফুটে ওঠে। যেমনএক দর্জির পাড াবেড ানি স্ত্রী বড সুন্দরী। সে স্বামীর যত্ন-আত্তি করত ঠিকই। কিন্তুএর-ওর কাছ থেকেনানা উপহার নিয ে বাড ি আসত। পড শীরা এ নিয ে প্রশ্ন তুললে দর্জি বলে, ও আমাকে যত্নেই রেখেছে। উপহার
গুলোও আমার বাড িতেই ঢুকছে,-সমস্যা কোথায ? (সম্ভবতঃ মপাসাাঁ)ব্রিটিশ লেখক সমারসেট মম (১৮৭৪-১৯৬৫) এক সময় নানা কয়েদখানায় ঘুরতেন নতুন কাহিনীর খোাঁজে ।

একটি জেল-এ এক শিক্ষিত শীলিত যুবক কয়েদীর সাথে দেখা হয় তাাঁর। সে তার বন্ধুকে প্রতারণা করে দূরে
যেতে বাধ্য করে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে। কিছুদিন পর দূর দেশের বিশেষ অসুখে বন্ধুর মৃত্যুহলে ছেলেটির
মনে ভর করে তীব্র আত্মগ্লানি। একই সময়ে অনেক মুল্যে অর্জিত স্ত্রীর অতি সাধারণত্ব হতাশ করতে
থাকে কয়েদী ছেলেটিকে। তার নীচতায় একদিন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে খুন করে সে আত্মসমর্পণ করে।
মম তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি তো শিগগিরই ছাড়া পাবে, বেরিয়ে কী করবে? আমার সুনাম আছে, কাজ জানি।
অসুবিধে হবে না চাকরি পেতে। বিয়েও করব- তবে আর প্রেমের জন্য নয়, এবার বিয়ে করব টাকার জন্য।
আর একটি জরুরী প্রশ্ন- প্রেম সত্যিই কি কোন এক মহাজাগতিক মায়াময় ‘ছিল মন তোমারই প্রতীক্ষা
করি, যুগে যুগে দিনরাত্রি ধরি…’ ব্যাপার, শরীরের টান না সামাজিক জীবের একটি ঘনিষ্ঠ সাথীর খোাঁজ?
আরও শোনা যায়- প্রেম মহান, প্রথম প্রেম মহানতর। বরানগরে প্রেমে পড েছিল ও হনন করেছিল সাধারণ
মানুষ। প্রেম তাদের বড় করতে পারে নি। কিন্তু, যাাঁরা প্রশ্নাতীত ভাবে প্রতিভায উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মত,
তাাঁদের মহানতায প্রেমের ভূমিকা কতখানি? প্রথম প্রেম বা যে কোন প্রেমের অমরত্বের তত্ত্বটি এবার
পৃথিবীর কিছুবড মানুষের জীবনের প্রেক্ষিতে দেখা যাক।প্রেসিডেন্সী কলেজে অমর্ত্য সেন (১৯৩৩)-এর তৎকালীন এক সহপাঠীর মুখে শুনেছিলাম, সেন মশাইকে

‘অমর্ত্য, তোমার প্রেম নবনীতার সাথে) অমর তো?’ বলে মজা করা হত। বলা বাহুল্য, সেই প্রেম, এমন কি
তার পরের প্রেমও অমর হয় নি। অমর্ত্য সেন বিয়ে করেছেন আরও দু’বার।

অমৃতা প্রীতম (১৯১৯-২০০৫) জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য একাডেমি, পদ্ম বিভূষণ সহ অজস্র পুরষ্কার বিজেতা।
সাহসিকতার উদাহরণ এই কবির একটি বিয়ে, দুটি সন্তান, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকতে থাকতেই আর এক
কবির সাথে তীব্র দীর্ঘস্থায়ী প্রেম। স্বামীর সাথে সম্পর্কে প্রেম প্রায় অনুপস্থিত, কবির সাথে প্রেম
নিষ্ফল, তৃতীয় সম্পর্ক চার দশকের, বিবাহবহির্ভূত লিভ-ইন এক অনুজ চিত্রশিল্পীর সাথে, তাতেই তৃপ্তির
ছোাঁয়া।মারি কুরি (১৫৬৭-১৯৩৪)- এ পর্যন্ত বিজ্ঞানের দুটি আলাদা বিভাগে (রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা) নোবেল
প্রাপক একক ব্যক্তিত্ব, তুলনারহিত মানবতাবাদী, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহতদের সেবা করার জন্য
ল্যাবরেটরি বন্ধ করে নিজের মেয়ের সাথে রেডিয়েশন-এর ঝুাঁকি উপেক্ষা করে এক্স-রে ভ্যান নিয়ে ঘুরে বহু
প্রাণ রক্ষা করেছেন। প্রথম চারটি প্রেম ব্যর্থ হবার পর পিয়ের কুরি’র সাথে সাক্ষাৎ, গভীর বন্ধুত্ব ও
বিয়ে। পথ দুর্ঘটনায় পিয়েরের মৃত্যুর পর ‘তোমার জায়গায় আর কাউকে বসাতে পারব না’ প্রতিশ্রুতি দেবার
পরও একদা পিয়েরের ছাত্র, বয়েসে ছোট বিবাহিত বিজ্ঞানী পল লঞ্জভাাঁ’র সাথে গভীর প্রেম, তার
ফলশ্রুতি হিসেবে মারীর গবেষণা ও পারিবারিক জীবনে বিপর্যয়, সংবাদ মাধ্যমে কুৎসা, মারীকে
স্টকহোমের উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে দ্বিতীয় নোবেল পুরষ্কার নিতে না যাবার অনুরোধ-এমন কি
তখনকার রীতি অনুযায়ী লঞ্জভাাঁ’র এক সাংবাদিকের সাথে ডুয়েল লড়তে যাওয়া।আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫)- যুদ্ধবিরোধী, মানবতাবাদী, বিজ্ঞানের গতিপথ বদলে দেওয়া এই বিজ্ঞানীর

প্রথম প্রেম আশ্রয়দাতা অধ্যাপক জস্ট উইন্টলারের মেয়ে মেরী। সে প্রেম ব্যর্থ। দ্বিতীয় প্রেমের শুরু
১৮৯৬ সালে পদার্থবিদ্যা ও গণিতের প্রতিভাময়ী ছাত্রী মিলেভা মারিচ-এর সাথে। ১৯০১ সালে বিবাহবহির্ভূত
সন্তানসম্ভবা মিলেভা পড়াশোনা ছেড়ে দেন। অবৈধ সন্তানকে ত্যাগ করার এক বছরের মধ্যে বিয়ে করার
পরও আইনস্টাইন মেরীর সাথে প্রেমের টান, তাাঁকে প্রেমপত্র লেখা ছাড়তে পারেন নি। ক্রমাগত তিক্ত থেকে
তিক্ততর হতে থাকা সম্পর্কের মধ্যেও পর পর দুটি সন্তান হয় মিলেভার। ১৯১৯ সালে বিচ্ছেদ হয়, তার সাত
বছর আগে থেকেই আইনস্টাইন বিবাহিত তুতো বোন (কাজিন) এলসার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। মিলেভার
সাথে বিচ্ছেদের পরই বিয়ে করেন এলসাকে। আর ১৯৩৬ সালে এলসার মৃত্যু। এলসার জীবতকালেই সেক্রেটারি
বেটি নিউম্যান সহ অন্ততঃ পাাঁচজন মহিলার সাথে আইনস্টাইনের প্রেমানুভূতির কথা জানা যায়। এলসার
মৃত্যুর পরেও এসেছিলেন আর একজন।স্টিফেন হকিং (১৯৪২-২০১৮)- ১৯৬৩ সালে ২১ বছর বয়সে পড়ে গিয়ে দুরারোগ্য অসুখ। তাাঁর বিয়ে হল জেনএর সাথে দুবছর পর। হকিং-এর মনে হ’ল এই বিয়েটির জন্যই বোঁচে থাকা যায় (Something to live for)। ১৯৭০
থেকে হকিং সম্পূর্ণ ভাবে হুইল চেয়ার নির্ভর হয়ে পড়েন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৮ তাদের তিন সন্তানের জন্ম
হবার পর, ১৯৯০ সালে হকিং জেন-কে জানালেন তিনি নার্স এলাইন মেসন-এর প্রেমে পড়েছেন। ১৯৯৫ সালে
বিবাহবিচ্ছেদ হলে হকিং এলাইনকে বিয়ে করলেন। সে বিয়েও ১১ বছর পর ভেঙ্গে যায়।

পাবলো পিকাসো (১৮৮১-১৯৭৩), দীর্ঘজীবী এই শিল্পীর জীবনে দুটি (মতান্তরে তিনটি) বিয়ে আর বিবাহিত
জীবনের পাশাপাশি নানা বয়সের প্রেমিকার মিছিল। প্রেম কুসুম ফোটার সময় তাদের সাথে পিকাসোর বয়সের

অন্ততঃ ৩০/৪০ বছরের তফাৎ। আর তাাঁর ৭২ বছরে নথিবদ্ধ শেষ প্রেমিকা এবং জ্যাকলিন রোক-এর বয়স
ছিল মাত্র ২৬ বছর।

এতগুলি মহামানবের জীবনকথায় প্রেম অমর, সে মহান করে এই ভাবনা ভাল রকম ধাক্কা খায়। এাঁদের দেখলে
মনে হয় তাাঁদের দীর্ঘস্থায়ী, একমুখী ভালবাসা তাাঁদের পেশা বা কাজের সাথে। প্রেমের সাথে ততক্ষণই মিতালি
যতক্ষণ সে কাজের (আইনস্টাইন, পিকাসো) বা কাজের বাইরে কিছুটা মনোরঞ্জনের সহায়ক।

প্রেম শব্দটির পিছনে যেন লুকিয়ে থাকে এক বহুরূপী। কখনো সে দেহ ছাড়া কিছুনয়, কখনো মন ছাড়া কিছু
নয়, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুটির মিশ্রণ। সাধারণ মানুষের ভাবনায় প্রেম প্রসঙ্গে কবিদের স্থান
মহাজ্ঞানীর দলে। কিন্তু, তাাঁরাও এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুবলতে অপারগ। যে দয়িতার সাথে মাটির মানুষ
অহরহ জড়িয়ে পড়ছে রবীন্দ্রনাথ তাদের সম্বন্ধে কখনো বলছেন, ‘বাহুলতা যেন বন্ধনপাশ বাহুতে মোর।‘

আবার অন্য জায়গায় তিনি, ‘আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে দোলাও’ লিখে, প্রেমিকাকে জীবনযৌবন গৌরবে ভরার আবেদন জানিয়ে (এ আর এমন কি! সবাই করে।), মোহগ্রস্তের মত তাাঁর অঞ্চলছায়ায়
আবৃত হয়ে থাকতে চেয়েছেন।

প্রেম-ভালবাসার জন্য তরুণ প্রাণ নষ্ট হওয়া বিশাল অপচয়। প্রেমের অতি মহৎ ছবি ও তার বিহনে জীবন
ব্যর্থ এই অনুভূতি অনেকটাই নিজের মন থেকে উদ্ভূত। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় তা কীভাবে প্রতিফলিত

দেখুনআমি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে
তোমারে করেছি রচনা,
তুমি আমারি, তুমি আমারি,
মম অসীমগগনবিহারী,
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা
তুমি আমার সাধের সাধনা ।
আর এক কবি নির্মলেন্দুগুণ এ প্রশ্ন যাকে করছেন তাাঁর সিলেবাসে তার উত্তরটি পড়ানো হয় না-
কী করে এমন তীক্ষ্ণ বানালে আাঁখি,
কী করে এমন সাজালে সুতনুশিখা?
যেদিকে ফেরাও সেদিকে পৃথিবী পোড়ে।
সোনার কাাঁকন যখন যেখানে রাখো,
সেখানে শিহরে, ঝংকার ওঠে সুরে।

এ সব কথা শুনতে, আবৃত্তি করতে ভাল, কিন্তুবিশ্বাস করলে যে কী ভয়ঙ্কর অনুপাতের জীবনসংশয় হয়ে
দাাঁড়াতে পারে তা তরুণদের আত্মহত্যার সত্য খতিয়ানে আপনি ফুটে উঠবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

সঙ্গীর, বন্ধুর প্রয়োজন সবার, বিষম লিঙ্গের বন্ধুও যে প্রয়োজন- তা শুধুশরীরের টান ভাবলে ভুল হবে।
তাদের দরকার চিন্তায় ভারসাম্য, সাযুজ্য আনার জন্য (ফরচুন ৫০০ কোম্পানিগুলির মধ্যে যাদের
একজিকিউটিভ বোর্ডে মহিলা ও পুরুষ আছেন তাদের পারফরম্যান্স শুধুমাত্র পুরুষ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের
চেয়ে ভাল)। সেই দরকারি কাজটি “তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা” ধরণের চিন্তায় গুলিয়ে যায়। বহুমুখী জীবনের
সমস্ত মানে শুধুপ্রেম নামক একটি বিশেষ অনুভূতির মধ্যে সামনে দাাঁড়ায় তুচ্ছ হয়ে। গোটা জীবন অর্থহীনতার
হতাশায় ডুবে গেলে মৃত্যুনা এলেও তসলিমা নাসরিনের লেখা নীচের কবিতাটির মত জীবনের মধুমাসের রঙ্গীন
দিনগুলিকে বিবর্ণ করে, বারম্বার পুরনো প্রতারণায় টেনে নিতে পারে এটা মনে রাখা ভাল।

“ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
এখনো কেমন যেন হৃদয টাটায –
প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুাঁলে
পাথর শরীর বয ে ঝরনার জল ঝরে।
এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখে, মাঘ-চৈত্রে-
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
বিশ্বাসের রোদে পুড ে নিজেকে অঙ্গার করি।
প্রতারক পুরুষেরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশ, না-ফুরানো দীর্ঘ রাত।
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কোঁদে উঠি অমল বালিকা।
ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,
তবুবোধ হবে না নির্বোধ বালিকার।“
(ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত -তসলিমা নাসরিন)

জীবনে অনেক বন্ধুআসে যায়। বিষম লিঙ্গের বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক এবং সম্পর্কচ্ছেদ সে রকম-ই
স্বাভাবিক বলে মেনে নিলে বারো আনা সমস্যা উড়ে যায়। মনে রাখতে হবে, মারী কুরির প্রথম চারটি প্রেম
বিফল হয়েছিল আর স্টিফেন হকিং শারীরিক বিস্তর অসুবিধা নিয়ে প্রথম প্রেমে সফল হয়েও তন্নিষ্ঠ থাকতে
পারেন নি। তবুও, সাধারণ অর্থে দুজনের কারো জীবন বিফল বা অসুখী বলা যায় না।

মানুষের প্রেম আর বিয়ের বিষয়টা বড়ই অসহজ। অল্পে মিটিয়ে নেওয়া অসম্ভব। তাদের নিয়ে আর একটু
আলাপচারি আপাততঃ বকেয়া রইল।

১৫ই জানুয়ারী, ২০২৪                                                                                   -অরিজিৎ চৌধুরী

তথ্যসূত্র

সাগরী সাহিত্য পত্রিকা, চেন্নাই, নভেম্বর, ২০২৩
(মারী কুরি- অরিজিৎ চৌধুরী
স্টিফেন হকিং- সরিৎ দাস
পাবলো পিকাসো- তিমির ভট্টাচার্য
অমৃতা, ইমরোজ ও সাহির- অমিত সেনগুপ্ত
আইনস্টাইন- বাসুদেব গুপ্ত)

 

About the author

Arijit Choudhuri, located in Navi Mumbai, petroleum geologist by profession. Also interested in issues concerning pollution, climate change and fast depleting groundwater reserves.Travelling, reading, writing articles, composing rhymes and recitation are his hobbies.

বিয়ে আর প্রেম-১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *